ছাত্রকে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে রড দিয়ে বেধড়ক পেটালেন শিক্ষক

পটুয়াখালীতে চুরির অভিযোগে নামে এক মাদরাসার ছাত্রকে মুখে কস্টেপ লাগিয়ে লোহার রড দিয়ে বর্বরোচিতভাবে পিটিয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আহসান উল্লাহ। এতে শিক্ষার্থী সুমন হোসেন (১৩) গুরুতর আহত হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন দফা পিটিয়েছেন ওই পাষণ্ড শিক্ষক। সুমন এখন ওই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। সুমন হোসেন সদর উপজেলার বসাকবাজার এলাকার আবদুর রহিম চৌকিদারের ছেলে।

এ ঘটনায় সুমনের মা মোসা. রেহানা বেগম বাদি হয়ে আজ শুক্রবার সকালে শিক্ষক আহসান উল্লাহর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার পর স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষক আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

মামলার বিবরণ ও সুমনের মা জানান, সুমনকে হেতালিয়া বাঁধঘাট বায়তুল আহাদ আকন বাড়ি হাফেজিয়া মাদরাসায় ভর্তি করেন। সেখানে সুমন নিয়মিত পড়াশোনা করছিল। বৃহস্পতিবার ওই মাদরাসার শিক্ষক আহসান উল্লাহর দুই হাজার টাকা চুরি হয়।

এ ঘটনায় শিক্ষক সুমনকে সন্দেহ করে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাত করে। একপর্যায়ে বেতটি ভেঙে গেলে শিক্ষক আহসান একটি রড এনে আবার মারধর শুরু করে। সুমনের কান্নার শব্দ ছড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে তৃতীয় দফা পেটান। পরে কাপড় দিয়ে সুমনের হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রাখে।

ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর সুমনের সহপাঠী ও ফুপাতো ভাই আকাশ সুমনের পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সুমনকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসক সেলিম মাতব্বর বলেন, সুমনের গোটা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় সুমনের মা বাদি হয়ে শিক্ষক আহসান উল্লাহকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আহসান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।