বিএসএমএমইউতে স্বাচিপ নেতাদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, অবরুদ্ধ উপাচার্য

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজও বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এই আন্দোলনে একাত্মতা পোষণ করা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারাসহ আন্দোলনরত চিকিৎসকরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ তাদের বেদম লাঠিপেটা করে। এরপরই উপাচার্যকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করেন রাখেন বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা।

জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরে বিএসএমএমইউর ২০০ মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার ফল বাতিল ও উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন পরীক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পালের নেতৃত্বে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এই নিয়ে তর্কাতর্কি হলে পুলিশ তাদের ওপর ব্যাপক লাঠিপেটা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্বাচিপের নেতাকর্মীসহ অনেক চিকিৎসক আহত হন।

এ ঘটনার পরই আজকের মধ্যে পদত্যাগ করার জন্য উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এর আগে ৯ জুনও উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশ ও আনসারদের সংঘর্ষ হয়।

গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ২০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল গত ১২ মে দুপুরে প্রকাশ হয়। ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন ডেন্টাল চিকিৎসক পদে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আট হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পরপরই অর্ধ শতাধিক চিকিৎসক বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর থেকে তাদের আন্দোলন চলছে। তারা কয়েক দফা ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ক্যাম্পাস ও ভিসির কার্যালয় ঘিরে পুলিশ-আনসার মোতায়েন রাখা হয়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ভিসি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য পরীক্ষার ফলে টেম্পারিং করা হয়েছে। তারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিভিন্ন কোর্সে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এখানেই তাদের চাকরি হবে বলে আশা করছিলেন। লিখিত পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। কিন্তু অনিয়মের কারণে এখন বাদ পড়ছেন।