ঈদের ছুটিতে বন্ধুকে নিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঈদের ছুটিতে বন্ধুকে নিয়ে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী (১৮)। গত রবিবার সকালে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জের আরাফাতনগর এলাকা থেকে ধর্ষিত ঐ তরুণী ও তার বন্ধুকে উদ্ধার এবং বান্ধবীসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন গণধর্ষণের শিকার তরুণী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার ওই তরুণী আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। পাশাপাশি মৌসুমী তার স্বামীকে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীতে বসবাস করে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। সেই সুবাদে মৌসুমীর সঙ্গে সম্পর্ক হয় ওই তরুণীর। কিছুদিন আগে মৌসুমী কদমতলী থেকে চলে এসে ধর্মগঞ্জের আরাফাতনগর এলাকায় মা-বাবার সঙ্গে বসবাস শুরু করেন।
ঈদ উপলক্ষে দাওয়াত দিয়ে শুক্রবার বিকেলে বান্ধবীকে বাসায় বেড়াতে আসতে বলেন মৌসুমী। পরে বান্ধবী তার বন্ধুকে নিয়ে মৌসুমীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যার পর মৌসুমী পরিকল্পনা করে বান্ধবী ও তার বন্ধুকে নিয়ে বক্তাবলীর নদীর পাড়ে ঘুরতে যান। তখন তাদের আটক করে বক্তাবলীর ছলিম উল্লাহর ইটভাটায় নিয়ে যায় ৭ যুবক। ওই সময় বন্ধুকে মারধর করে বান্ধবীকে তুলে নিয়ে ইটভাটার একটি ঘরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। বিষয়টি মৌসুমীর চোখের সামনে ঘটলেও কিছু বলেননি। পরে বান্ধবী ও তার বন্ধুকে মৌসুমীর বাড়িতে আটকে রেখে মুক্তিপণ হিসেবে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে ধর্ষকরা।
খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা পুলিশ মৌসুমীকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বান্ধবী ও তার বন্ধুকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মৌসুমীর সহযোগী আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি আসলাম হোসেন বলেন, গণধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার বন্ধুকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরিকল্পনাকারী ধর্ষণের শিকার তরুণীর বান্ধবীসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৌসুমী এ ঘটনার পরিকল্পনাকারী। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।