হাসপাতালের জেনারেটরে পোষাক আটকে এক নারী নিহত

৫০ হাজার টাকায় রফা হল আলমডাঙ্গার লোকমান হোসেন প্রাইভেট হাসপাতালের জেনারেটরে পরনের পোষাক আটকে দুর্ঘটনায় নিহত আলমডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের সালেহা খাতুনের (৫৬) মৃত্যুর ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রাইভেট হাসপাতালে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হলেও প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক প্রতারণা করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লাশ কুষ্টিয়ায় পাঠিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামলান বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী সালেহা খাতুন। গত বৃহস্পতিবার সালেহা খাতুন তার মেয়ের সিজার করানোর জন্য আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার লোকমান হোসেন প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই প্রাইভেট হাসপাতালের সিঁড়ির পাশে অরক্ষিতভাবে রাখা হয়েছে জেনারেটর। রাতে চলাচলের সময় অসাবধানতাবশত সালেহা খাতুনের পরণের পোষাক চালু রাখা জেনারেটরে আটকে যায়। এতে প্রচন্ড মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তার।

প্রত্যক্ষদর্শি একাধিক ব্যক্তি জানান, ঝামেলা এড়াতে ক্লিনিক মালিক কৌশল করে রাতেই চিকিৎসার কথা বলে দ্রুত লাশ কুষ্টিয়ায় পাঠিয়ে দেন। অভিযোগ উঠেছে – গতকাল ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই ঘটনা মীমাংসা করা হয়েছে। গতকালই লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগ লোকমান হোসেন প্রাইভেট হাসপাতালে নেই কোন ডাক্তার ও পাশ করা নার্স। চিকিৎসার ন্যুন্যতম সুবিধাও নেই।

তারপরও বছরের পর বছর ধরে কীভাবে কথিত প্রাইভেট হাসপাতালটি চালু রয়েছে তা ভাবার বিষয়ে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসি।

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি