শোভন-রাব্বানীকে কঠোর হুশিয়ারী দিলো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটি নিয়ে চলছে তুলকালাম। হামলা,সংবাদ সম্মেলন পাল্টা-পাল্টি বক্তব্যে সরগরম রাজনীতি অঙ্গণ থেকে শুরু করে সর্ব মহল। এমন কমিটি কেউ সহজে মেনে নিতে পারছিলেন না সাবেক ছাত্র নেতাসহ দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীগণ।

স্বয়ং মানণীয় প্রধানমন্ত্রী বিবর্তকীতদের ব্যপারে নতুন নির্দেশ দিয়েছেন। এরই সুত্র ধরে শোভন রাব্বনী বির্তকিতদের একটি তালিকা তৈরি করে প্রমাণ করেছেন তাদের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে এর নেপথ্য কুশিলব কে বা কারা। তারই কিছু আভাস মিলে এই ছাত্র নেতার বক্তব্যে। তাই তার বক্তব্য টি হুবহু তুলে ধরা হলো।

শোভন\রাব্বানিকে অনাকাঙ্ক্ষিত কমিটি করতে ইন্দন যুগিয়েছে  হয়তোবা উপর মহলের কোনো এক বড় মাপের লিডার। তিনি হয়তো শেখ হাসিনা আপাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার জন্য এই অপকর্মে ইন্দন দিয়ে দিয়েছে।

তিনি আপার আশে পাশে থেকেও আপার ভাল চায়না। মনে হয় খন্দকার মোস্তাক হতে চায়। সেই মনের ভাবনা যদি থেকে থাকে তাহলে সাবধান করে দিচ্ছি- পিঠের চামড়া কিন্তু থাকবেনা। সে যত বড় মাপের লিড়ারই হোকনা কেন। আমরা যেমন শেখ হাসিনা আপার জন্য জীবন দিয়ে দিতে পারি-তেমনি শেখ হাসিনা আপার জন্য জীবন নিয়েও নিতে পারি।ভয় করিনা মরনে। কারন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করেছি। আমরা শেখ হাসিনা আপার সৈনিক, একনিষ্ঠ কর্মি এবং ভ্যান গার্ড। আমরা শেখ হাসিনা আপার দেখানো সৎ পথে চলছি অতএব সাদু সাবধান!

শেখ হাসিনা আপার বিরুদ্ধে কোন নীল নকশা বাংলার বুকে আমরা বেঁচে থাকতে অন্তত হতে দেয়া যাবেনা।

শেখ হাসিনা আপা একটি বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা আপা ১৭ কোটি মানুষের মুখে হাসি এবং আশার প্রদীপ । শেখ হাসিনা আপা আমাদের অনুভূতি এবং শেষ আশ্রয় স্থল। শেখ আসিনা আপা আমাদের অভিবাবক। মনে রাখবেন তিনি যদি ক্ষমতায় না থাকেন তাহলে আপনারা যারা আপাকে নিয়ে গেইম খেলার চেষ্টা করেন এবং চেষ্টায় আছেন আপনাদের কাউকেই খুজে পাওয়া যাবেনা।

এবার আসি শোভন ও রাব্বানির বিষয়ে-তোমাদের মুখে বারংবার শুনেছি- তোমরা নাকি আপার ছাত্রলীগ। তবে আমার প্রশ্ন হলো-তোমরা যেহেতু আপার ছাত্রলীগ সেহেতু তোমরা কেন গেইমবাজদের ইন্দনের স্বীকার হয়েছো?

মানণীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ কণ্যা হাসিনা আপার চেয়ে বড় নেতা কে সে? তাঁদের ভয় পেয়ে ইন্দনে পড়ে জগাখিচুড়ী মার্কা কমিটি দিলা?

তোমরাতো আপার ছাত্রলীগ,আর আপার ছাত্রলীগ হয়ে গুটিবাজদের কথা মতো ভয় পেয়ে কেন বাজে একটা পূর্নাঙ্গ কমিটির  দিলা? ভয় পাওয়ার কোন কারন দেখছিনা।  নাকি তোমাদের মনেও শয়তানি কাজ করেছিল!!!?

তোমাদের কি যোগ্যতা নাই? ত্যাগী, যোগ্য, পরিশ্রমী ও মেধাবীদের খুজে বের করে কমিটিতে ঢোকানো?

আপা কি তোমাদের ছাত্রলীগের প্রধান দুইটা চেয়ারে বসিয়েছেন ঘোড়ার ঘাস কাটবার জন্য? ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকো, বরং  তাই উত্তম।

সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হওয়ার পর পরই লেকচার মেরেছিলা যে, হ্যান করবা ত্যান করবা। পরিশেষে ঘোড়ার ডিম করলা?

তোমাদের লেকচার শুনে তখনই আমি আমার ছোট ভাইদের বলেছিলাম এরাই ছাত্রলীগকে ধ্বংস করবে। তাই করলা।
আপার মুখ উজ্জ্বল না করে মুকে চুন কালি মেখে দিলা।

ভাই তোমাদের পা দুটো ধরি তোমরা সময় থাকতে পদত্যাগ করো। দয়া করে ত্যাগী, পরিশ্রমি, মেধাবী ও যোগ্য নেতাদের অভিশাপ নিওনা ভাই। তোমাদের সমস্যা হল-পাইলা আর পাওয়া মাত্রই গিললা। ত্যাগী নেতাদের দুঃখ কষ্ট যন্ত্রনা তোমরা বুঝবানা। বুঝবা কেমন করে-তোমরাতো সংগঠন করতে আসো নাই, এসেছো ধান্দাবাজি করে আখের গোছাতে।

তোমরা বোঝোনা কেন তোমাদের দিয়ে হবেনা। তোমরা পারোনা ৫ কেজি সামলাতে- নিয়েছো ১০০ কেজি ওজন। সেটা কি ভাবে সম্ভব বলো! বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দেয়া এতো সহজ না। এটা ছেলে খেলা সংগঠন না, খেলে দিলা আর গোল হয়ে গেল। এটা বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে গড়া সংগঠন।

শোভন ও রাব্বানির অনুসারীরা হয়তোবা কষ্ট পাচ্ছো। আর কষ্ট পাওয়াটাই স্বাভাবিক। হয়তোবা কষ্ট পেয়ে আমার ক্ষতি করার অথবা আমাকে মারার চেষ্টা করবা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবেনা। কারন, আমি রাজনীতিতে মৃত্যু স্বীকার করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনা আপার নেতৃত্বে মুগ্ধ হয়েই এ পেশায় এসেছি। রাজনীতি আমার পেশা রাজনীতি আমার নেশা।ছাত্রলীগ করে এসেছি বলেই কিন্তু, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা আপার ছাত্রলীগকে ধ্বংস হতে দেবোনা। তাতে যদি আমার মরণ হয় হোক না! মরণ হওয়ার আগে মরনকে হাসি মুখে বরন করে নিবো।

পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই মমতা ময়ী জননী জননেত্রি শেখ হাসিনা আপার মুখে যদি কেউ চুন কালি দেয়ার, নীল নকশা আঁকার চেষ্টা করে তাহলে আমার জীবন চলে গেলেও আমি অন্তত তাকে ছাড় দেবোনা সে যেই হোকনা কেন।আশা করি সকলে বুঝতে পেরেছেন???

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক শেখ হাসিনা আপার, জয় হোক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের,জয় হোক বাংলার খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের।

মাসুদ করিম
সাবেক সহ-সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর এর ফেসবুক ওয়াল থেকে সংগৃহিত।