দেশে ধানের বাম্পার ফলনে ধাক্কা খেল ভারতের চাল রপ্তানি

চাহিদার তুলনায় বাংলাদেশে ধান বেশি উৎপাদন হওয়ায় ভারত থেকে বাংলাদেশ কম চাল কিনছে। এই কারণে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এপ্রিলে বেশ ধাক্কা খেয়েছে ভারতের চাল রপ্তানি। চালের রপ্তানি কমেছে ৯.৪%। ভারতের চালের বড় ক্রেতা বাংলাদেশ। সেখানে বিপুল ফলন হওয়ায় রপ্তানি ধাক্কা খেয়েছে।

কেন্দ্রের কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন পর্ষদের হিসেব বলছে, টাকার অঙ্কে চাল রপ্তানি কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫,১১৪ কোটিতে। তবে সামগ্রিকভাবে চাল রপ্তানি কমলেও, ভিন দেশে ভারতের বাসমতির কদর বেড়েছে। গত অর্থবর্ষে তা রপ্তানি হয়েছে ২৮,৫৯৯ কোটি টাকার।

বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা বলবেন। ব্যবসায়ীরা বহু দিন ধরেই নিষেধাজ্ঞা তোলার আর্জি জানাচ্ছেন।

তিনি বলেন, যদি উৎপাদন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হয়, তা হলে রপ্তানিতে সায় দিতে পারেন তাঁরা।

দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক দশক ধরে বাংলাদেশ থেকে চাল রপ্তানিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ বার উৎপাদনও বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিবেশী দেশটির বাজারে জোগানে ঘাটতি হচ্ছে না। দামও নিয়ন্ত্রণে থাকছে। ফলে সব মিলিয়েই সেখানে আমদানি কমে গিয়েছে। এর ফলে রপ্তানিতে ধাক্কা লাগায় ভারতেও কমেছে চালের দাম।