আগামীকাল দেশে আসবে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর মরদেহ

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে আনা হবে। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১১টায় মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুবীর নন্দী। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। গায়কের মেয়ে ফালগুনী নন্দী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ খবর দেন। তিনি লিখেন, ‘আমার বাবা নেই।’

দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হার্টের সমস্যা ভোগা সুবীর নন্দী গত ১৪ এপ্রিল সিলেটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠান সেরে ট্রেনযোগে ঢাকায় ফেরার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানবন্দর স্টেশনে নামিয়ে রাত ১১টার দিকে তাকে নেয়া হয় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।

এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানোর কিছুক্ষণ পরে সুবীর নন্দীর হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর তাকে দ্রুত লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। সিএমএইচে ১৬ দিন থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৩০ এপ্রিল শিল্পীকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। ওইদিনই তার চিকিৎসা শুরু হয়।

কিন্তু সিঙ্গাপুরের ওই হাসপাতালের এমআইসিউতে চিকিৎসাধীন সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। গত শনি ও রবিবার পরপর দুদিন তার হার্ট অ্যাটাক হয়। মঙ্গলবার ভো রাতে সবাইকে ছেড়ে।

দেশবরেণ্য এই সংগীতশিল্পী দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।

১৯৮১ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ বাজারে আসে ডিসকো রেকর্ডিংয়ের ব্যানারে। সুবীর নন্দী প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে আবদুস সামাদ পরিচালিত ‘সূর্যগ্রহণ’চলচ্চিত্রে।

চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। আর চলতি বছরে সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার সুবীর নন্দীকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।