বাড়ি ঘেরাও করার পর কেয়ারটেকারসহ তিনজনক আটক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলার মেট্রো হাউজিং জঙ্গি আস্তানাটি মূলত একটি টিনশেড বাড়ি। বাড়িটি ঘেরাও করার পরই কেয়ারটেকারসহ তিনজনকে আটক করেছে র‍্যাব। তারা হলেন- কেয়ারটেকার সোহাগ, সোহাগের বউ মৌসুমী ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ইউসুফ।

র‍্যাব-২ এর এসপি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টিনশেড বাড়িটির কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ওই টিনশেড ভবনে কারা কারা থাকেন। কীভাবে ভাড়া দিয়েছেন। সোহাগ ওই এলাকায় ডিশের ব্যবসা করেন।

তিনি বলেন, টিনশেড বাড়িটির পাশে একটি মসজিদ রয়েছে। সম্প্রতি মসজিদটি সম্প্রসারণ করে মাদরাসা করার কথাও চলছিল। মসজিদের ইমাম ইউসুফকেও তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ওই টিনশেড বাড়ির বাসিন্দা জোনায়েদ বলেন, ওই টিনশেড বাড়িতে চারটি রুম। তিনি এক রুমে থাকেন। পেশায় রড-সিমেন্টের মিস্ত্রি, বাড়ি-ঘরের কাজ করেন।

তিনি বলেন, দু’জন যুবক এক দেড় মাস হলো ভাড়ায় উঠেছেন। ভোরে বিস্ফোরণের আগে আমাদের বের করে আনে র‍্যাব। ভোর পাঁচটায় যে বিস্ফোরণটি হয় তা ছিল খুব বড়।

র‍্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে সম্প্রতি যে দুই যুবক ভাড়ায় ওই বাসায় উঠেছেন তারাই জঙ্গি আস্তানা গেঁড়েছে। তাদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ খান বলেন, সাড়ে তিনটার দিকে মোহাম্মদপুর বছিলার মেট্রো হাউজিং এ অভিযান শুরু করে র‍্যাব। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়েই বিস্ফোরণ ঘটে আস্তানায়। এরপর ভোর পাঁচটার দিকে বড় বিস্ফোরণ ঘটে।

জঙ্গি আস্তানার সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিস্ফোরণের আগে হ্যান্ড মাইকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। ভেতরে ঠিক কতজন জঙ্গি রয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে একাধিক জঙ্গি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভেতরে যারা আছেন তাদের জীবিত ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাড়ে ৩টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। হ্যান্ড মাইকে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোর পাঁচটার দিকে বড় একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। এরপর এই মুহূর্তে ঠিক কী অবস্থা তা বলা যাচ্ছে না। র‍্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট আসার পর অভিযান শুরু হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।