শ্রীলঙ্কায় বোমা বিস্ফোরণে শেখ সেলিমের মেয়ের জামাই আহত, নাতি নিখোঁজ

শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ে জামাই আহত হয়েছেন। এছাড়া নাতি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার ব্রুনাই সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ সেলিমের মেয়ে, জামাই ও দুই বাচ্চা নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ছিল। সেখানে মেয়ের জামাই, প্রিন্স … ছেলে সাড়ে আট বছর.. ওরাও গিয়েছিল.. রেস্টুরেন্টে, সেখানে বোমা পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, জামাই আহত হয়ে হাসপাতালে, বাচ্চাটার এখনও কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না যে সে কোথায় আছে। আপানারা একটু দোয়া করেন, যেন ওকে পাই।

এর আগে, দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছিলেন, হামলার ঘটনায় একটি পরিবারের চার সদস্যের মধ্যে দু’জন নিরাপদ আছেন, বাকি দু’জনের খোঁজ মিলছে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাংসদ শেখ সেলিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। সেলিমের মেয়ে শেখ সোনিয়া তার স্বামী মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স ও দুই ছেলেকে নিয়ে সদস্যদের নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গেছেন বেড়াতে। তারা উঠেছিলেন কলম্বোর পাঁচ তারকা হোটেল শাংরি-লায়।

এদিকে, গীর্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। রবিবার সকালের দিকের এই সিরিজ হামলায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৪৫০ জন।

হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা ১৯০ জন বলে জানায়। কিন্তু সরকারের এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর দেশটির পুলিশ বলছে, রাজধানী কলম্বোজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায় ২০৭ জন নিহত ও আরো ৪৫০ জন আহত হয়েছেন।

ইস্টার সানডের সকালে কলম্বোর বিলাসবহুল সিনামুন গ্রান্ড, শাঙ্গরি-লা ও কিনসবুরি হোটেল ও কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গীর্জা, নেগোমবোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান গীর্জা ও বাত্তিকালোয়ার জিওন গীর্জায় ওই হামলা হয়। দেশটির পুলিশের প্রধান বলেছেন, তিনি এই হামলার ব্যাপারে ১০দিন আগেই সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি রোববারের এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার পেছনে আত্মঘাতী বোমারুরা জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ বলবৎ থাকবে।