‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে জাতিসংঘে রেজুলেশন গ্রহণের উদ্যোগ নিবে’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ‘আন্তর্জাতিক কর্মসূচি ও যোগাযোগ উপকমিটি’র প্রথম সভা, এ উপকমিটির আহ্বায়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে জাতিসংঘে রেজুলেশন গ্রহণের উদ্যোগ নিবে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি- ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’ এ বিষয়টি  সারা বিশ্বে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ড. মোমেন জাতির জনকের ইতিহাস যথাযথভাবে দেশে-বিদেশে তুলে ধরার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ইনিস্টিউট’ প্রতিষ্ঠা করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন।

এ কমিটির সদস্যগণ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সুপরিচিত করার ওপর জোর তাগিদ দেন। সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ আয়োজন, ‘বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তিদের মন্তব্য এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পররাষ্ট্রনীতিতে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ বিষয়ে গ্রন্থ প্রকাশ, শিশুদের নিয়ে আন্তর্জাতিক স্কাউট জাম্বুরির আয়োজন, বঙ্গবন্ধুর দুটি গ্রন্থ অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বিদেশী ভাষায় অনুবাদ ও বহুল প্রচার অব্যাহত রাখা, বঙ্গবন্ধুর ওপর ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী, বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধুর ওপর চিত্রকলা প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষায় চিত্রকলার অ্যালবাম প্রকাশ, বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক পদক প্রদান, বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

উপকমিটির এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব:) ফারুক খান, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির, সাবেক মূখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমেদ, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, এফবিসিসিআই’র সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, পিআইবি’র চেয়ারম্যান আবেদ খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন এবং বীর প্রতীক লে: কর্নেল কাজী সাজ্জাদ হোসেন জহির উপস্থিত ছিলেন।