নুসরাতকে যারা পুড়িয়ে মেরেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে যারা পুড়িয়ে মেরেছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে। কেউ ছাড় পাবে না। এদের কঠোর বিচারের আওতায় আনা হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভার শুরুতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করে তারা (জড়িতরা) জঘন্য কাজ করেছে। এ ধরনের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।’
তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাস্তি তাদের পেতে হবে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও যারা জড়িত আছে তাদের খুঁজে বের করা হবে। তারা কেউ রেহাই পাবে না।’
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার পথ দেখিয়েছে বিএনপি। তারা ইতিপূর্বে গাড়িতে পেট্রলবোমা ছুড়ে জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। যারা এর শিকার হয়েছেন তারাই একমাত্র বুঝতে পারেন এর কত যন্ত্রণা। অনেকে পোড়া শরীর নিয়ে এখনো বেঁচে আছেন। তাদের অনেককেই আমরা সাহায্য সহযোগিতা করছি।’
নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে এর আগেও ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার চারদিন পর বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়।