অভিনেতা জয়কে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি

ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়কে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ায় অভিযোগ করেন।’

ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, শাহরিয়ার নাজিম জয় আজ সন্ধ্যায় সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে এসে নিজের জীবননাশের হুমকি ও তার ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার আইডি উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। যারা তার জীবননাশের হুমকি দিয়েছে তারা অপরাধ করেছে। তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জয়কে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত ফায়ার সার্ভিসের একটি পাইপের ছিদ্র অংশ পলিথিন পেঁচিয়ে দুই হাতে চেপে ধরে আলোচনায় আসে নাঈম।

তার ওই মুহূর্তের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রশংসায় ভাসতে থাকে সে। মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ছবিটি ভাইরাল হয়। এক আমেরিকা প্রবাসী তাকে পড়াশোনার জন্য ৫০০০ ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেন।

সম্প্রতি টিভি উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় নাঈমের একান্ত সাক্ষাৎকার নেন। এ সময় নাঈমের সঙ্গে তার বাবা-মাও ছিলেন। সেখানে নাঈম পুরস্কারের সেই টাকাগুলো নেবে কী না জানতে চান জয়। নিলেও সেই টাকা কিসে খরচ করবে এমন প্রশ্ন করেন উপস্থাপক জয়।

জবাবে নাঈম জানায়, সেই টাকাগুলো সে এতিমখানার অনাথ শিশুদের জন্য দান করে দিতে চায়। ছেলের এ জবাবে সায় দেন তার মা-বাবাও। নাঈম জানায়, কয়েক বছর আগে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা লুট করে খেয়েছে। তাই এই টাকা সে এতিমদের দিতে চায়।

তবে পরদিন গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাঈম বলে, অনুষ্ঠান শুরুর আগে তাকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বলার জন্য এসব শিখিয়ে দেয়া হয়েছিল।