প্রিন্স মুসার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ৩০ এপ্রিল ধার্য

শুল্ক ফাঁকি ও সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিলের অভিযোগে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার (৩১ মার্চ) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ নতুন দিন ধার্য করেন।

প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা রেঞ্জ রোভার গাড়ি ভোলা বিআরটিএর কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাড়িতে ২ দশমিক ১৭ কোটি টাকার শুল্ক করাদি জড়িত।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রিন্স মুসা লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে। কিন্তু তিনি ওই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।

দিকে ২০১৭ সালের ২১ মার্চ প্রিন্স মুসার গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি জব্দ করে। পরে ঢাকা কাস্টমস হাউসে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। একইসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করা হয়।

২০১৭ সালের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি করেন।