গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন, ২৯১টি দোকান পুড়ে ছাই

রাজধানীর গুলশান-১ এর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় ২৯১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। আরো স্বস্তির খবর হলো আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।

সকাল পৌনে ১০টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দ্রুত নিভিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘গুলশান ১ এ ডিএনসিসি’র কাঁচাবাজার ও সুপার মার্কেটের আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলতে।’

গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেটের দোতলা ভবন ঘেঁষে লোহার কাঠামোর উপর টিন দিয়ে গড়ে ওঠা এই কাঁচাবাজারে মাংস ও মাছের দোকানের পাশাপাশি মুদি ও সুগন্ধীর দোকান ছিল। আমদানি করা খাদ্যপণ্য ও সুগন্ধীর অনেক দোকানের পাশাপাশি প্লাস্টিকের খেলনার দোকানও ছিল সেখানে। তার একটিকেও অক্ষত দেখা যায়নি।

অগ্নিকাণ্ডস্থলে উৎকণ্ঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন দোকানি জানিয়েছেন, রাতে দোকানগুলোতে কেউ থাকে না, বাজারের কলাপসিবল গেটে তালা মেরে পাহারাদাররাও বাইরেই থাকেন।

কাঁচাবাজারের সামনে পাঁচতলা গুলশান শপিং সেন্টারেও আগুন ছড়িয়েছিল। সেখানে দোতলার বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিপণি বিতানে রয়েছে, হার্ডঅয়্যারের দোকান, হার্ডঅয়্যারের দোকান, বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান।

কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ধারণা, কাঁচাবাজারের সুগন্ধীর কোনো দোকান থেকে আগুনে লেগেছে।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছিল গুলশান ১ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট। তখন দোতলা মূল বিপণি বিতানের পাশের কাঁচাবাজারও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছিল। তারপর ওই বাজারটি নতুন করে গড়ে তোলার দুই বছরের মধ্যে আবার তা পুড়ে গেল। ২০১৭ সালে আগুনের ঘটনার পর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি মার্কেট কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ করেন আশপাশের লোকজন।