‘নুরের বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে’

রবিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে জোটগত কর্মসূচি না দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে একক কর্মসূচি দিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য। গণভবনে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসু নির্বাচনে বামজোটের ভিপি প্রার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ৫টি প্যানেল এক সাথে আন্দোলন করে আসলেও এখন তাদের জোটে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, গণভবনে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তার আগের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি এর আগে নির্বাচন বয়কট করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছিলেন। গতকাল তিনি এ ফল নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বক্তব্য খুবই ক্ষতিকর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছেন।

এ সময় লিটন নন্দী পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন। দাবিগুলো হলো- কারচুপির এই নির্বাচনের ফল বাতিল ঘোষণা, শিগগিরই পুনরায় তফসিল, উপাচার্যসহ এই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সকল কর্মকর্তার পদত্যাগ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, প্রার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির প্রদান।

সংবাদ সম্মেলনে লিটন নন্দী আগামীকাল ১৮ মার্চ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে উপাচার্য কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, ১১ মার্চের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে। এই নির্বাচন আমরা মানি না। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনকে আমরা বৈধতা দিতে পারি না। এই ডাকসু আমাদের ডাকসু না। আগামীকাল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং ভিসি কার্যালয়ে অবস্থানের মধ্য দিয়ে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।

আপনাদের পাঁচটি প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল কিন্তু আপনারা ছাড়া আর কোনো প্যানেলের লোকজন নেই কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন নন্দী বলেন, অন্যরা এখনও ইন্টারনাল কিছু দ্বিধাতে আছে। তারাও আপনাদের সাথে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে বলে আমরা আশা করছি। তবে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করছি।