হত্যাকারী ব্রেন্টনের মুখে হাসি, ইশারায় দেখাচ্ছিলেন ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব’ চিহ্ন
২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শুক্রবার গুলি চালিয়ে ৪৯ জনকে হত্যা করে। এই অপরাধে শনিবার ক্রাইস্টচার্চ ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এ তাকে হাজির করা হলে সেখানে হাসছিলেন তিনি। এ সময় তিনি হাতের ইশারায় একটি চিহ্ন দেখান, সেটি ‘হোয়াইট সুপ্রিমেছিষ্ট অফ পাওয়ার বা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব’ বর্ণবাদের প্রতীক বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
বলা হচ্ছে, আদালতে ব্রেন্টন যেভাবে আঙুল রেখেছেন, সেভাবে রাখাটা হলো ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব’র প্রতীক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ব্রেন্টন আদালতে কোনো কথা বলেননি। শুনানির সময় মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা যখন তার আলোকচিত্র তুলছিলেন, তখন তিনি হাসছিলেন এবং হাতের আঙুল দিয়ে ‘হোয়াইট সুপ্রিমেছিষ্ট অফ পাওয়ার’ প্রতীক প্রদর্শন করছিলেন।
বৃদ্ধা ও তর্জনি আঙুল বৃত্তাকারে একসঙ্গে যুক্ত করলে ‘P’ হয়, যা Power। এসময় বাকি তিন আঙুল রূপ নেয় ‘W’-এর। যা White। আর এভাবেই আঙুলগুলো রেখেছেন ২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক।
তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দিয়ে শনিবার (১৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন আদালত আত্মপক্ষ সমর্থনে আনার জন্য কোনো আবেদন ছাড়াই পুলিশের হেফাজতে ব্রেন্টনকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ০৫ এপ্রিল। এ দিন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের উচ্চ আদালতে তাকে হাজির করা হবে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন লঙ্ঘনসহ আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হবে বলে ধারণা করছেন আইনপ্রণেতারা।
বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার সন্দেহভাজন মূলহোতাকে আদালতে হাজিরের সময় হাতকড়া পরানো ছিল। তার পরনে ছিল কারাগারের শার্ট। তার দু’পাশে দু’জন পুলিশ সদস্য ছিলেন সতর্কতা অবলম্বন করে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চে ডিনস অ্যাভ মসজিদ ও লিনউড মসজিদে এবং আরেকটি স্থানে এ হামলা হয়। এতে ৪৯ জন নিহত হন। এদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিও রয়েছেন। আহতদের মধ্যেও একাধিক বাংলাদেশি আছেন। তবে বর্বরোচিত হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।