‘নির্বাচন বর্জন করেছি, তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি না’

শনিবার বিকাল ৪টায় ডাকসুর নবনির্বাচিত পরিষদকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিষদের সবাইকে নিয়ে গণভবনে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লাল বাসে চড়ে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে গণভবনে গিয়েছেন ডাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা। তবে গণভবনে যাননি সুফিয়া কামাল হল সংসদের সদস্য লামইয়া তানজিন তানহা। নির্বাচনের ফল কারচুপির অভিযোগে ডাকসুর ফল বাতিল চেয়েছেন তিনি।

শনিবার বিকাল ৪টায় গণভবনে ডাকসু নির্বাচন নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। ডাকসু নেতাদের নিয়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে ৪টি মিনিবাস আর ৬টি বাস রওনা দেয়।

এ বিষয়ে তানহা বলেন, ‘নির্বাচনে যখন কারচুপি হলো তখনই আমরা সবাই প্যানেল থেকে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। তারপর ফলাফল ঘোষণার পর আবার যখন দেখলাম আমি জয়ী হয়েছি তখন আমি এ ফলাফল আর গ্রহণ করতে পারি না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যদি তার ভোট দিতে না পারে সেটাও ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশাল অন্যায়। সেজন্য আমি প্রথমে নির্বাচন বর্জন করেছি, পরে পদত্যাগ করেছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি না।’

ইংরেজী বিভাগের এই শিক্ষার্থী সুফিয়া কামাল হলে সদস্য পদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছেন। ৮৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিতও হয়েছেন তিনি। তবে সামগ্রিকভাবে পুরো ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি প্যানেলগুলো তা বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে ভিপি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর এবং জিএস পদে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২টি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই নেতা আর বাকি ২৩টি পদে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে জয়ী হয়েছে।