ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের কথা শুনে কাঁদলেন নেতাকর্মীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি পদে পরাজয় মানতে না পেরে বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফের পুনঃভোটের দাবি জানায় সংগঠনটি। তবে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নূরসহ সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চান। এ সময় নেতাকর্মীদের অনেকে উচ্চস্বরে কাঁদছিলেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভরত নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ডাকসু নির্বাচনে পরাজিত এই ভিপি প্রার্থী এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘মানুষকে দূরে ঠেলে দিয়ে লাভ নাই। কারণ, আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে চলতে হবে। সবাই তো আমাদের। কে আপন, কে পর? সবাই তো আপন। তুমি যদি মানুষকে পর করে দাও তাহলে তো হবে না। তোমাকে মনে রাখতে হবে তুমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী। ছাত্রলীগ কর্মীদের মন ছোট হতে পারে না। ছাত্রলীগ কর্মীদের মন অনেক বড় হতে হয়।’

অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শোভন বলেন, ‘এই অবরোধ বা এই ভিসির বাড়ির সামনে দাঁড়ানো আল্লাহর ওয়াস্তে আমি তোমাদের বলতেসি, তোমরা ভিসির বাসার সামনে থেকে সরে যাও। তোমরা কার জন্য করতেসো, ছাত্রলীগের জন্যই তো করতোসো, আমাদের জন্যই তো, আমার জন্যই তো করতেসো, আমি এইখানে বলতেসি। তোমরা আমার কথা মানবা না? আমি তো ব্যক্তি না, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, আমার একটা জায়গা আছে, আমার জায়গাটা তোমরা নষ্ট করো না।’

‘তোমাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের শুধু না, সারা দেশের ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করি। আমরা সেই সব ছাত্রদের দেখে রাখবো, এটা আমাদের দায়িত্ব। দায়বোধের জায়গা থেকে আমরা এটা করবো’ বলেও যোগ করেন তিনি।

শোভন বলেন, ‘আমি তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি তোমরা পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই জায়গা ছেড়ে দিবা। যদি না যাও, তাহলে আমি বুঝবো তোমরা আমাকে মানো না।’

সবার সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘অনেক সময় অনেক কিছুর কারণে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য দেশের ভালোর জন্য নিজেকে বলি দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য আমরা সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। নূরও আমাদের সঙ্গে কাজ করবে।’

শোভন কথা বলার সময় নেতাকর্মীদের অনেকে উচ্চস্বরে কাঁদছিলেন। সে সময় এ আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।