জম্মু-কাশ্মীরে আত্মঘাতী হামলা, এ পর্যন্ত ১৮ বিদ্রোহীকে হত্যা

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৮ বিদ্রোহীকে হত্যার কথা জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এদিকে অস্ত্র সমর্পণ না করলে সব বিদ্রোহীকে নির্মূল করা হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সোমবার (১১ মার্চ) নিহতদের অধিকাংশই বিদ্রোহী গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য বলে তিনি জানিয়েছেন দেশটির সেনাবাহিনী। 

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি আলোচনার প্রস্তাবে কোনো আগ্রহ দেখায়নি ভারত। পাকিস্তানও শান্তির বার্তার সমান্তরালে পাল্টা আক্রমণ-হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পারমাণবিক হামলার ইঙ্গিত দিতেও ছাড়েনি দুই পক্ষ।

কানাডাভিত্তিক গ্লোবাল রিসার্চরে এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এটা মনে রাখা জরুরি যে উভয় পক্ষের সরকার ও সংবাদমাধ্যমগুলো এই সংঘাতের তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে অভিনন্দন বর্তমানের মুক্তি প্রশ্নে পরাশক্তিগুলোর পর্দার আড়ালের কূটনৈতিক পদক্ষেপ আর প্রকাশ্য শান্তির আহ্বান সত্ত্বেও পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী অবকাঠামো এবং সন্ত্রাসী হামলার মূল হোতাদের বিরুদ্ধে চাপ অব্যাহত রাখবে ভারত।

এশিয়ান রিভিউ পত্রিকায় শ্রীরাম চাউলিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি তৎপরতা যে বিশ্বের জন্য একটা নিরাপত্তা হুমকি, ভারতের সে সংক্রান্ত প্রচারণা জঙ্গিবাদবিরোধী বিশ্ব জনমতের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

রাজ্যটিতে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ক্যানওয়াল জিত সিং ধিলন বলেন, গত তিন সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনী স্থানীয় ১০ ও বিদেশি ৮ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে।

ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটির গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আত্মঘাতী হামলার পর আমাদের মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে- জইশ-ই-মোহাম্মদের নেতৃত্বকে নির্মূল করে দেয়া। সে ক্ষেত্রে আমরা সফল হয়েছি।

তিনি বলেন, পুলওয়ামার মতো যাতে আর কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটে, সে জন্য জইশ নেতাদের নির্মূল করতে আমরা সফল হয়েছি।

উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় স্থানীয় এক তরুণের আত্মঘাতী হামলায় ভারতের একটি আধাসামরিক বাহিনীর ৪৪ বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। এর পর থেকে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে ভারতের।

উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধান বলেছেন, সরকার তাদের পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছে, যদি তারা ভারতে থাকতে চায়, তবে ভারতের ভাষায় কথা বলতে হবে, পাকিস্তানের ভাষায় নয়। কাশ্মীরে ২০১৮ সালে গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪৮ বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে।