বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন বাংলাদেশের প্রথম টানেল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর খনন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। এরআগে বেলা ১১টার দিকে একটি বিশেষ বিমানে চট্টগ্রাম পৌঁছান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব আনোয়ারুল ইসলাম বোরিং কার্যক্রম নিয়ে তাকে ব্রিফ করেন।

এখান থেকে তিনি টানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চায়না কনস্ট্রাকশন কোম্পানির তৈরি করা রেস্ট হাউজে গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেবেন। পরে পতেঙ্গা সাগর পাড়ে আয়োজিত ব্যতিক্রমী এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষ করে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বিমানে ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা।

দুই টিউবের মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এর সঙ্গে টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ওয়ান সিটি টু টাউন মডেলে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ও এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কে সংযুক্তির উদ্দেশে এ টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরকে বাইপাস করে সরাসরি কক্সবাজারের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

ফলে চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমে আসবে। প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি ৩২ শতাংশ এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

প্রকল্পটির সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩২ ভাগ এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।