‘ইয়াবা চালান বন্ধে সীমান্তকে কঠোরভাবে সুরক্ষা করব’

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে সরকারের দেওয়া সাত শর্তে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন কক্সবাজারের সাবেক এমপি বদির ভাইসহ ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে রয়েছেন বদির ৪ ভাই ও ৮ স্বজন। 

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, উখিয়া-টেকনাফসহ ১৯৩টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকছে। মিয়ানমারকে ইয়াবা চোরাচালান বন্ধ করতে অনেকবার বলেছি। তারা বলে কিন্তু বাস্তবে কিছুই করে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ছি সীমান্তকে আমরা কঠোরভাবে সুরক্ষা করব। একইসঙ্গে টেকনাফসহ কক্সবাজারকে ইয়াবামুক্ত করতে সবার সহযেগিতা চান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ পেলেই আমাদের জানান, আইজিপিকে জানান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হলেও জড়িত থাকলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। আমাদের ইসলাম ধর্মে মাদকের বিষয়ে কঠোর নিষেধ আছে। আসুন আমরা ধর্মকে হৃদয়ে ধারণ করে ইয়াবাকে বর্জন করি।

এ সময় মাদক কারবারিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বিকল্প কর্মসংস্থান করতে সরকারের সহায়তা চাইলে তাও করা হবে। তবুও আপনার এ পথ থেকে ফিরে আসেন।

নাফ নদীতে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নৌকাগুলো মাছ ধরতে যায় আর আসার সময় ইয়াবা নিয়ে আসে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা বসব।

ইয়াবার সেবন কারীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা ইয়াবা সেবন করেন। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ঘরে বউ থাকবে না। যে সকল বোনেরা ইয়াবা সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের স্বামী থাকবে না। জীবন যাপন করতে পারবেন না। আমি আর খোলামেলা কথা বললাম না।

আপনারা চাইলে আপনার স্বামীকে অপরাধের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। তারা অপরাধে জড়িয়েছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে আপনারাও এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে আপনারা আনাদের ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করেছেন, তার জন্য প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ, সাধুবাদ জানাই। আশা করি আপনারা ভালোভাবে জীবন যাপন করবেন।