কলকাতার বইমেলায় জনপ্রিয় প্যাভিলিয়নের পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ

গতকাল সোমবার শেষ হলো কলকাতার আন্তর্জাতিক বইমেলা। এবারের বইমেলার সেরা জনপ্রিয় প্যাভিলিয়ন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। প্যাভিলিয়নটি তৈরি হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ঢাকার রোজ গার্ডেনের আদলে।

এবার কলকাতা বইমেলা ৪৩ বছরে পা দিয়েছে। বইমেলার আয়োজক কলকাতার পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। প্রতিবারের মতো এবারও বইমেলায় যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রকাশকেরা। এসেছে বাংলাদেশের ৪৫টি টি প্রকাশনা সংস্থা। এর মধ্যে ৮টি সরকারি প্রকাশনা সংস্থা। এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মিত হয়েছে ঢাকার রোজ গার্ডেনের আদলে।

গতকাল রবিবার এই বইমেলায় উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশ দিবস। এ নিয়ে সেমিনারে যোগ দেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীরা। এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সেমিনারের বিষয় ছিল ‘বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু’।

এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও যোগ দিয়েছেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান, চীন, ইরান, কোস্টারিকা, স্পেন, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনাসহ বিশ্বের ২১টি দেশ ও দেশের প্রকাশকেরা। যোগ দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রকাশকরাও। এবার বইমেলায় সব মিলিয়ে ৮০০ স্টল হয়েছে। এর মধ্যে ২০০টি লিটল ম্যাগাজিনের স্টল।

বইমেলার শেষ দিনে দেওয়া হয় বইমেলায় বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের পুরস্কার। পুরস্কার তুলে দেন গুয়াতেমালার ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জিয়োবান্নি কাসতিয়ো। এবার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন বইমেলার সেরা জনপ্রিয় প্যাভিলিয়ন হিসেবে পুরস্কার পায়। প্যাভিলিয়নটি তৈরি হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে ঢাকার রোজ গার্ডেনের আদলে। বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রতিনিধির হাতে তুলে দেওয়া হয় এই পুরস্কার।

বইমেলার উদ্বোধন হয় গত ৩১ জানুয়ারি। ওই দিন বিকেলে কলকাতার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ঘণ্টা বাজিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন গুয়াতেমালার প্রখ্যাত সাহিত্যিক অধ্যাপক ইউডা মোরেস। এবারের বইমেলার থিম কান্ট্রি ছিল এই গুয়াতেমালা। এই বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন গুয়াতেমালার ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জিয়োবান্নি কাসতিয়ো।