বইমেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বছর ঘুরে আবার আসছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি, ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আয়োজকরা জানাচ্ছেন, বইমেলা এবার পরিসরে বেড়েছে। বইমেলা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মাসব্যাপী থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলায় যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণ ঘিরে থাকবে তিন শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন অমর একুশে বইমেলা ২০১৯ এর সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
তিনি জানান, বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নিরাপত্তাকর্মীরা।
তিনি বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলাজুড়ে ৩ শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বইমেলা থাকবে সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত। মেলা প্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়াও মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলিনাশক পানি ছেটানো, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বাংলা একাডেমির সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াছ, নিরাপদ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কাঞ্চন, বিকাশের সিএমও মীর নওবত আলী। সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জি।
অমর একুশে বইমেলায় প্রতিবারই আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি অন্যবারের নিয়মিত বিভিন্ন দিক ছাড়াও কিছুটা নতুনত্ব দেয়ার চেষ্টা করে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। বইমেলায় বেশকিছু নতুন সংযোজন নিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।