মুরগির ডিমে বাতরোগ ও ক্যানসাররোধী ওষুধ!

মুরগির ডিমে রয়েছে বাতরোগ ও ক্যানসাররোধী ওষুধ। অবাক করার মত বিষয় হলেও এমনটিই বলছেন গবেষকরা। কারণ ক্যানসাররোধী ডিম পাড়ে এমন মুরগি আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।

জিনগত ভাবে পরিবর্তিত মুরগির মাধ্যমে পাওয়া কম ব্যয়বহুল ডিমে রয়েছে বাতরোগ ও ক্যানসাররোধী ওষুধ। এই ডিম সাধারণ মুরগির পাড়া কোন ডিম নয়। মুরগির শরীরে জিনগত কিছু পরিবর্তন ঘটানোর পর ওই মুরগি যে ডিম পাড়বে সেটা দিয়েই এই চিকিৎসার কথা বলা হচ্ছে। এই ওষুধ কারখানায় প্রস্তুতে যে খরচ পড়ে, মুরগির মাধ্যমে তা উৎপাদনের খরচ ১০০ গুণ কম। এ ব্যাপারে বিবিসি’র খবরে বলা হয়, বাণিজ্যিক ভাবে ওষুধ উৎপাদনের পর্যায়েও নেয়া সম্ভব হবে এই ডিম কেন্দ্রিক প্রকল্প। বর্তমানে যেসব ওষুধ উপলভ্য রয়েছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অথচ এই বিশেষ মুরগির তিনটি ডিম থেকেই এক ডোজ ওষুধ প্রস্তুত করা সম্ভব।

গবেষকরা বলছেন, এ ধরনের ডিমে এমন কিছু ওষুধ থাকবে যা দিয়ে আর্থ্রাইটিসসহ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা করা সম্ভব। এডিনবার্গের রোজলিন টেকনোলজিসের ডা. লিসা হেরন বলেন, জিনগত ভাবে পরিবর্তিত এসব মুরগি কোনো কষ্ট পায় না। খুবই দক্ষ কর্মীরা দৈনন্দিন এসব মুরগির দেখভাল করছেন। তার মতে, ‘মুরগির কোনো ভাবলেস নেই। এগুলো শুধু সাধারণ ভাবে ডিম পাড়ছে। কোনো ভাবেই তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়ছে না।’

উল্লেখ্য, প্রতি বছর সর্বোচ্চ ৩০০টি ডিম পাড়ে একটি মুরগি। ফলে মোট উৎপাদন ব্যয় কারখানায় উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে ১০০ গুণ কম বলে দাবি করছেন গবেষকরা। তবে এসব ডিম শুধু পরীক্ষার জন্যেই এখন উৎপাদন করা হয়েছে। বিক্রির জন্যে এখনও বাজারে ছাড়া হয়নি।