সভাপতি সাইফুলকে জ্যাকেট ধরে থামান মির্জা ফখরুল!

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দুপুরে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে দুপুরে বগুড়ার শহরতলির চারতারকা হোটেল মম ইন-এ যাত্রাবিরতির সময় মির্জা ফখরুলের সামনেই লিফটে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন জেলা বিএনপির দুই নেতা। জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছান। তখন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জ্যাকেট ধরে সভাপতি সাইফুলকে থামান।

সভাপতি সাইফুলকে জ্যাকেট ধরে থামান মির্জা ফখরুল!

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যাত্রাবিরতির খবর জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামকে না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জড়ান।

বিষয়টি নিয়ে উভয় নেতার সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে কী কারণে তাদের মধ্যে এ অবস্থা সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি বিএনপি নেতারা।

ফোন বন্ধ রাখায় জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাইফুলের সমর্থক আবুল কালাম আজাদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনার পর বগুড়া সদর উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে তামাশা করে আওয়ামী লীগ আজ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই আমরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করে বলেছি, এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে হবে।

বিএনপির এই সংকটকালে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করে ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষমতায় আসার জন্য আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে সকল প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করেছে। আমরা গণতন্ত্র উদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে পড়েছে। ভয়াবহ দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার কারণে এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোট ডাকাতি করে জয়লাভ করে এখন তারা বলছে দেশে তারা জনপ্রিয়। কিন্তু জরিপ বলছে, ৯৯ শতাংশ মানুষ বিএনপির পক্ষে।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়া আজ জেলে আর তারেক রহমান বিদেশে। তাই খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করতে, তারেক রহমানকে দেশে আনতে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে বগুড়া থেকেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন শুরু করতে হবে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু প্রমুখ।