ফরিদপুরে সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে ব্যহত পাঠদান!

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদরের বেগম কাজী জেবুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি গত তিন বছর যাবত সরকারিকরণ করা হলেও কার্যক্ষেত্রে তার বাস্তবায়ন নেই। বর্তমানে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদানও ব্যহত হচ্ছে। সদরপুর উপজেলায় ২টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ১টি বালক ও ১টি বালিকা বিদ্যালয়। এ দুটি বিদ্যালয়ে উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকার অধিকাংশ মেধাবী ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে থাকে। যে কারণে বিদ্যালয় ২টি গুরুত্বপূর্ণ ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য বিদ্যাপিঠ।

এরমধ্যে বালিকা বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট প্রকট। জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি ওঠেছে। বেগম কাজী জেবুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়টি সরকারি করণের সময় ১৪টি পদ সৃষ্টি করে ১০টি পদে শিক্ষক দিলেও এর মধ্যে ৬জন শিক্ষক সরকারি ভাবে বেতন ভোগ করলেও বাকি ৪জন শিক্ষক আইনি জটিলতার কারণে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মোট ১০জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় চললেও এর মধ্যে অনেকই অবসরে গেছেন। সরকারি নিয়মনীতিতে প্রতি ৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জন করে শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালায় প্রায় ১১শ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে প্রয়োজন ২২ জন শিক্ষক। কিন্তু বর্তমানে আছে মাত্র ৯ জন শিক্ষক। বিগত ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারিকরণ করার পর প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক, ধর্ম ও ক্রীড়া শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন যাবত শূণ্য রয়েছে। ফলে লেখাপড়া ও প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া চলছে এক কথায় জোড়া-তালি দিয়ে।

জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঐতিহ্যবাহী বেগম কাজী জেবুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলার মধ্যে ২য় স্থানে থাকলেও বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে ফলাফল খারাপের দিকে যাচ্ছে। শিক্ষকদের সঠিক ভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান না করার কারণে গত জেএসসি পরীক্ষায় আশানূরূপ ফলাফল করতে পারেনি। আগামীতে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ধরে রাখা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সমস্যার বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবগত করব।

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি