প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড বাংলায় লেখা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির অভিযান

সোমবার রাজধানীর বনানীতে ঢাকা দক্ষিণ উত্তর কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড বাংলায় লেখা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখা এবং অবৈধভাবে এলইডি বাতি জ্বালানোর অপরাধে বনানী-১১ নম্বর সড়কের ১০টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে লিটল এঞ্জেলস, গ্রেট ইন্টারন্যাশনাল, বিএফসি, গিঞ্জা, ফিট এলিগেন্স, এঞ্জেলা, মুন্স, আনজারা, রিয়েল থাই ও লেদারেক্স। এ ছাড়া বিএফসি, রিয়েল থাই ও লেদারেক্সের সাইনবোর্ড তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার বলেন, ‘প্রত্যেকটি নামফলক, সাইনবোর্ড ইত্যাদিতে বাংলা ভাষা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে হাইকোর্টের আদেশটি ডিএনসিসি এলাকায় নিশ্চিত করার দায়িত্ব ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ডিএনসিসির এখতিয়ারাধীন এলাকার যেসব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা হয়নি তা অবিলম্বে স্ব-উদ্যোগে অপসারণ করে ৭ দিনের মধ্যে বাংলায় লিখে প্রতিস্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তাছাড়া মাইকিং, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠানোসহ ডিএনসিসির ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পাতায়ও গণবিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়। তখন প্রায় সব কয়টি প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের আদেশ এবং ডিএনসিসির গণবিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়ন না করার অপরাধে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।