পিছিয়ে গেলো আসিফের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ

আজ সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ থাকলেও তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জেল হোসেন এই নতুন তারিখ ধার্য করেন।

গীতিকার ও কন্ঠশিল্পী শফিক তুহিন গত ৪ জুন সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় আসিফ ছাড়া আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। মামলার এজাহারে বাদী শফিক তুহিন উল্লেখ করেন, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চলাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এ ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন।

এরপর মামলার পরদিন রাতে সিআইডির একটি দল আসিফকে এফডিসির কাছের অফিস থেকে গ্রেফতার করে। এরপর ৬ জুন কন্ঠশিল্পী আসিফকে আদালতে তুলে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অন্যদিকে, আসিফের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। ৫ দিন কারাভোগের পর গত ১১ জুন আদালতে আসিফের জামিন মঞ্জুর করলে সেদিনই তিনি মুক্তি পান।