নানা দাবিতে উত্তরায় পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

রোববার সকাল ৯টার পর থেকে তারা উত্তরার জসীমউদ্দীন, আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করেছে পোশাকশ্রমিকরা। বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরায় সড়ক অবরোধ করেছে তারা বলে জানা যায়।

সকাল থেকে উত্তরা আব্দুল্লাহপুর সড়কের দুইপাশ বন্ধ ছিল। কোনো যানবাহন চলছিল না। এমনকি ফায়ার-সার্ভিস, পুলিশসহ কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হচ্ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুইদিক বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট।

দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অবরোধের পর উত্তরার সড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে রোববার দুপুর পৌনে ২টায় তারা সড়ক থেকে সরে যান। এর পর গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

গার্মেন্টস মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকারি মূল্য কাঠামো অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন দেয়া হবে।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে ভার্সেটাইল অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ কে ফজলুল হক আজমপুর চৌরাস্তায় এমে শ্রমিকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন।

এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার যে নতুন মজুরি কাঠামো করেছে, সেই অনুযায়ী আমরা শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেবো, এটা শুরু থেকেই বলে আসছি। আমরা শ্রমিকদের বলেছি যে, আমাদের গার্মেন্টসের বেতন কাঠামোতে যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থাকে, তাহলে গার্মেন্টসে যোগ দিয়ে আমাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নেন। তবে আমরা সরকারি মজুরি কাঠামোর বাইরে গিয়ে কিছুই করবো না। এই কাঠামোর ভেতরে থেকে যা যা করার করবো।

প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ শুভ জানান, শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিচ্ছে। তাদের স্লোগানের একটি ছিল, ‘মালিকদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও।’

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন খান বলেন, ‘বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে তারা সড়কে অবস্থান নিয়েছে। সকাল থেকে তারা বিক্ষোভ করছেন। তাদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে উত্তরখান ও দক্ষিণখানসহ আশপাশের এলাকার পোশাকশ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিতে শুরু করে।’