বাংলার নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়েছে সুদূর কলকাতায়

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়েছে কলকাতায়। তাই শুধু বাংলাদেশের জনগণই নয়। কলকাতাবাসীরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে নির্বাচনের ফলাফলের জন্য। তারাও তাকিয়ে আছেন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দিকে।

বাংলাদেশের নির্বাচনের খবর অনেক গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হচ্ছে কলকাতার সব প্রথম সারির কাগজে। এমনকি নির্বাচন নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে সবার মাঝে। কলকাতার নাস্তার টেবিল থেকে পাড়ার চায়ের দোকানেও চলছে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলোচনা। এই মাসেই বাংলাদেশ থেকে ঘুরে এসেছেন কালবেলা, কালপুরুষ, সাতকাহনের কালজয়ী লেখক, কথা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। সমরেশ মজুমদার বলেন, ‘আমি দেখেছি ওখানে কি উন্নতি হয়েছে শেখ হাসিনার জামানায়। আশা করি উনি আবার ক্ষমতায় আসবেন। উনি জিতলে ভারত বাংলাদেশ দুই দেশেরই মঙ্গল। শেখ হাসিনাকে নির্বাচনের আগে শুভেচ্ছা জানাই।’ পশ্চিমবঙ্গে ইদানিংকালে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের কাজের কথা বারবার আলোচিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র এবং মমতা ব্যানার্জি সরকারের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে উন্নতির কথা।

সেই সুরে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা বলেছেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায় চৌধুরী। ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে । আমরা ওখানে শিক্ষাক্ষেত্র এবং স্বাস্থ্যপরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে … হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আমরা এই পরিকল্পনা গুলো নিয়ে আরও আগাবো।’ বলেছেন সত্যম বাবু। তিনি আরও বলেন, ‘আমার অনেক বন্ধু নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, আমি তাদের বিজয়ের প্রার্থনা করছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পরম প্রিয় নেত্রী, আমি চাই উনি আবার নির্বাচিত হয়ে ফিরে আসুক।’ ব্যবসা নিয়ে যারা আগ্রহী, শুধু তারাই নয়, সাধারণ মানুষের মনেও অনেক কৌতূহল।

নিউ মার্কেটে টাইমস ইন্টারন্যাশনালের এক কর্মচারী বলেন, ‘গত একমাসে যারা এসেছেন, তারা সবাই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন …তাই আমরাও খুব আগ্রহী জানতে ওখানে কি হয়।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ১ দিন বাকি। সব জল্পনা কল্পনা শেষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর জানা যাবে বাংলাদেশের নতুন সরকার কারা গঠন করবে।