মায়ের কবরে দাফন করা হলো অভিনেতা মঞ্জুর হোসেনকে

আজ শনিবার দুপুরে মায়ের কবরে দাফন করা হলো প্রবীণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা মঞ্জুর হোসেনকে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) প্রাঙ্গণে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আজ রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে অভিনেতা মঞ্জুর হোসেনকে দাফন করা হয়। এর আগে মঞ্জুর হোসেনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এফিডিসিতে ছুটে আসেন অভিনয় জগতের অনেকেই। মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমার জীবনে এ রকম মানুষ দেখিনি, যে কখনো বেদনাহত হয়েছে। সব সময় সব পরিস্থিতিতে একটা আনন্দমুখর জীবন যাপন করতেন। তার মানে জীবনটাকে উদ্‌যাপন করতেন। একসঙ্গে দীর্ঘ বিমানভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। একসঙ্গে বহু নাটকে অভিনয় করেছি। এ রকম মানুষ হয়তো আমরা পাব না, যে কখনো বেদনার্ত হয় না। দুঃখকে খুব সহজে জয় করতে পারে।’

ডিরেক্টর গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘খুব প্রাণবন্ত একজন মানুষ ছিলেন। সবাইকে আন্তরিক ভাবে গ্রহণ করতে পারতেন। অভিনয় জগতের কারও কোনো বিপদের কথা শোনামাত্রই তিনি ছুটে গেছেন। একটি পা নিয়ে তিনি জীবন যাপন করেছেন। এই পা ছাড়া অবস্থায় তাঁর কাজের যে গতি ছিল, তা আমাদের ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। এই বছর আমাদের অনেক অগ্রজ চলে গেছেন। মাথার ওপর থেকে সব ছায়া সরে যাচ্ছে। মঞ্জু ভাইও তেমনই একজন বটবৃক্ষ।’

মঞ্জুর হোসেনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এফিডিসিতে মঞ্জুর হোসেনের জানাজায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মিশা সওদাগর, আহসান হাবিব নাসিম, মুশফিকুর রহমান গুলজার, জায়েদ খান, খোরশেদ আলম খসরু, নাদের খান, মাসুম বাবুল ও এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর হোসেন। মিশা সওদাগর বলেন, ‘মঞ্জুর হোসেন বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ বরেণ্য চিত্রনায়ক আলমগীর বলেন, ‘মঞ্জুর ভাই ভীষণ ভালো একজন মানুষ ছিলেন। মানুষের উপকারের নিবেদিতপ্রাণ। আমার সঙ্গেও ছিল তাঁর দারুণ সম্পর্ক। তিনি আমাকেও স্নেহ করতেন।’

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার রাজধানীর বনানীতে ছেলের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।