সরকারকে রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা না করার আহ্বান জানালেন হিরো আলম
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক নাগরিক সভায় হিরো আলম তাঁর মনোনয়ন আবেদন বাতিল হওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি সরকারকে রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা না করার আহ্বান জানান।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর না থাকার অভিযোগে গত ২ ডিসেম্বর বাতিল হয় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়ন। আর তাই মনোনয়ন বাতিল হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন- ‘নির্বাচন কমিশনার বড় বড় কথা বলেন। তাঁরা কষ্ট করে নির্বাচন কমিশনার হননি। তাঁরা যদি বুঝতেন, (ভোটারদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা) এর জ্বালাটা কতটুকু, তাহলে তাঁরা ১ শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর সংগ্রহের আইনটা পাস করতেন না।
আমাদের সবার একটাই সমস্যা ভোটারদের স্বাক্ষর। আমার এলাকায় ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার। আমার ৩১০০ ভোটার স্বাক্ষর লাগে, আমি ৩৫০০ দিয়েছি। তারপরও বাতিল হয়েছে। যাই হোক আপিল করলাম, সেখানেও কাজ হয়নি। তারা শুধু পাতা দেখছে আর উল্টাইছে। গ্রাম গঞ্জের লোক তো এমনিতেই ভয় পায়, সত্য কথা বললে তো হয় লাশ হতে হয়, জেলখানায় যেতে হয়। না হয় এলাকা ছাড়তে হয়। তাই যাচাইয়ে অনেকে আমার কথা বলেনি।’
তিনি আরও বলেন- ‘আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। দাবি জানাই যাতে সমাধান হয়। আমরা যেন প্রার্থী হতে পারি, দরকার হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। রাজনীতি করতে গেলে অনেক কৌশল নিতে হয়। কিন্তু আমরা কৌশল বুঝি না। আমরা সাধারণ ভাবে চলি। আমরা সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। আপনারা (সরকার) রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা শুরু করছেন। তাই ব্যবসা বন্ধ করুন, সামনে আমাদের এগোতে দিন। এই দেশে একটা জিনিসই বুঝতেছি, এখনকার জনগণ আওয়ামী লীগ-বিএনপিকে চায় না। এরা দুইটার একটাকেও চায় না, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চায়। সরকার পরিকল্পিত ভাবে ১ শতাংশ ভোটার স্বাক্ষরকারী আইন করেছে যাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী না আসতে পারে। আমরা জনগণ চাইলে কাউকে হিরো বা জিরো করতে পারি। আমরা এক হই না বলেই এই সমস্যা।’
উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র এমপি ঐক্য পরিষদ এই নাগরিক সভার আয়োজন করে। নাগরিক সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন স্বতন্ত্র এমপি ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবদুর রহিম।