বয়সের কারণে নির্বাচন না করলেও নেতৃত্বে থাকবেন ড. কামাল

গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন হলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের নামে কোনো মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি। কিন্তু কেন তিনি নির্বাচন করবেন না তা স্পষ্ট করলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুব্রত চৌধুরী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হচ্ছেন না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন। বুধবার গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুব্রত চৌধুরীও নিশ্চিত করেছেন তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। এ বিষয়ে গতকাল সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান- “উনি (ড. কামাল হোসেন) আমাদের নেতা। বয়স ও শারীরিক অবস্থার কারণে নির্বাচন করবেন না। এটা আগেই বলেছেন। তবে তিনি আমাদের নেতৃত্বে থাকবেন।”

এসম্পর্কে ড. কামাল হোসেন বলেন- “মূল কারণ হলো, আমার বয়স এখন আশির ওপরে হয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগেও যদি এ নির্বাচন হতো তাহলেও হয়তো বিবেচনা করতাম। কিন্তু তখন যে ইলেকশন হওয়ার কথা সেটা তো হয়নি। আমি চেয়েছি যে দেশে গণতন্ত্র থাকুক, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে গণতন্ত্র আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হোক। আমি রাজনীতিতে ঢুকেছি ৫৫ বছর আগে, মন্ত্রী ছিলাম, অনেক নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কোনটাতে সফল, কোনোটাতে বিফল হয়েছি। কিন্তু আমি এখন মনে করি আমার অভিজ্ঞতা থেকে – দেশের মঙ্গলের জন্য যারা রাজনীতি করবে তারা আমার সহায়তা পাবেন এবং আমি তা করে যাচ্ছি।

এটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করা দরকার যে রাজনীতি এমন একটা কাজ যাতে বয়স-স্বাস্থ্য সবকিছু ঠিক থাকলে মানুষ পুরোপুরি ভূমিকা রাখতে পারে। নির্বাচন তো পরিশ্রমের দিক থেকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কঠিন একটা কাজ। যেহেতু আমি নির্বাচন করছি না তাই অন্য ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করতে পারছি।”

উল্লেখ্য, গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন থাকায় সব দলের প্রার্থীরাই উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়।