‘মাত্র ১৭ মিনিটে বাবরী ভেঙেছি, আইন তৈরি করতে সময় লাগেনা’

মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬৪৪ থেকে ১৬৫৬ সালের মধ্যে দিল্লির ঐতিহাসিক জামে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। অথচ মাত্র ১৭ মিনিটে বাবরী মসজিদ ভেঙেছে দিল্লির হিন্দুরা। গতকাল শুক্রবার ভারতের মহারাষ্ট্রের শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আমরা ১৭ মিনিটের মধ্যে বাবরী ভেঙেছি, (রাম মন্দির নির্মাণের জন্য) আইন তৈরি করতে কত সময় লাগে?’

জামায়াতে ইসলামী হিন্দ-এর পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি মুহাম্মদ নুরুদ্দিন শনিবার রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক দল আবার মন্দির-মসজিদ ইস্যুতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করে রাজনীতির ময়দান গরম করতে চাচ্ছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গে রথযাত্রা শুরু করা হয়েছে। এখন ভারতের চারটে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন। এই রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষকরে ভারতীয় জনতা পার্টি যারা কেন্দ্রীয় সরকারে শাসন ক্ষমতায় আছে, তাঁরা কোনও উন্নয়নের ইস্যু খুঁজে না পেয়ে, জনগণের সমর্থন হারাবার ভয়ে,  মন্দির-মসজিদ ইস্যু, সাম্প্রদায়িক উসকানিকে সামনে আনতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, সাক্ষী মহারাজ দিল্লির জামে মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়াসহ তার ভিতরে দেবতার মূর্তি পাওয়া যাবে বলে যে দাবি করেছেন, তা আসলে রাজনৈতিক গিমিক এবং মানুষের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছুই নয়। সঞ্জয় রাউত যে মন্তব্য করেছেন তাও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আসলে এরমধ্যে না ধর্ম আছে, না কোনও সৎ উদ্দেশ্য আছে। সবসময়ই এরা নির্বাচনকে সামনে রেখে মন্দির-মসজিদ ইস্যু তুলে ধরতে চায়।

তিনি আরো বলেন, মন্দির-মসজিদের ভাবনায় জনগণকে ডুবিয়ে রেখে, জনগণকে সেই উত্তেজনার মধ্যে রেখে উত্তেজিত করে সেই আগুনে তাঁরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। আমার মনে হয় ভারতের জনগণ এধরণের সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক মানসিকতাকে প্রত্যাখ্যান করবে।’