নির্বাচনের দুই মাস আগে বাইশারী বিএনপির কমিটি নিয়ে অসন্তোষ

‘সংকট আর বির্তক’ যেন পিছু ছাড়ছে না বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির। নির্বাচনের দেড় মাস আগে দলের ত্যাগী, নির্যাতিত ও পোড় খাওয়া নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে ‘বির্তকিতদের ব্যক্তি দিয়ে ইউনিয়ন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলা কমিটি নিয়ে বির্তক শেষ না হতেই সম্প্রতি বাইশারী ইউনিয়নের ঘোষিত কমিটি নিয়ে দলের কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে। আর এই কমিটিকে প্রত্যাখান করে অধিকাংশ নেতাকর্মী নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে ঐক্যবদ্ধ বাইশারী বিএনপিতে নতুন করে কোন্দল শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত বাইশারী ইউনিয়ন। গত ১ অক্টোবর এই ইউনিয়নে গোপনে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয় উপজেলা কমিটি। অভিযোগ উঠেছে ঘোষিত কমিটিতে প্রবাসী, বিগত নির্বাচনে ধানের শীষের বিরোধীতাকারী এবং বির্তকিত ব্যক্তি দিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কারণে ইতিমধ্যে কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মোজাফ্ফর আহমদ, মো: ইলিয়াছ, মিনহাজ, ছৈয়দ হোছেন, মো: হোসেন, মো: ইসলাম, মো: ছিদ্দিক, সাবেকুন্নাহার, রমজান মেম্বার, হামিদুল হকসহ অনেকে অভিযোগ করেছেন নির্বাচনের দুই মাস আগে এই কমিটি গঠন মানেই ঐক্য বিনষ্ট করা।

এই প্রসঙ্গে বাইশারী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল হক মনু বলেন- বিগত নির্বাচনে ধানের শীষের বিরোধীতাকারী আওয়ামীলীগ এজেন্টকে বিএনপির ইউনিয়ন কমিটিতে অবৈধ ভাবে সভাপতি করা মানে বিএনপির জন্য অশনি সংকেত। যা আসন্ন নির্বাচনে দলকে খেসারত দিতে হবে।

এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম কোম্পানী বলেন- নির্বাচনের আগে নতুন করে কমিটি না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের নির্দেশনা থাকলেও অবৈধ কমিটি তা মানেনি।

এস.কে নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি