শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতি, এক শিক্ষার্থী আটক

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা তিনি দেননি। তবু প্রকাশিত ফলাফলে তাঁর মেধাস্থান ৩৫৩তম। ভর্তি হতে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথমে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। প্রক্টর বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ দেখালে একপর্যায়ে স্বীকার করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয় রাসিক মারজান নামের ওই শিক্ষার্থীকে। ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ জানান, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে ‘বি’ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৩৫৩তম হওয়া রাসিক মারজান নামের ওই শিক্ষার্থী এইচএসসির নকল সনদ নিয়ে ভর্তি হতে আসেন। এ সময় ভর্তি কমিটির সদস্যদের ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রাসিক জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন।

এ সময় রাসিক জানান, পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দিয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জালিয়াতি করে মেধাতলিকায় স্থান পান তিনি।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে রাসিকের নামে মামলা আছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যদের হাতে তাকে তুলে দেয়া হবে।’

রাসিক মারজান রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পাস করেন।