কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জন্য তিনটি আসন

কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জন্য তিনটি আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেনে উঠল বিএনপি। সোমবার বেলা পৌনে ১১টায় রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির এই কার্যক্রম শুরু হয়।  দুর্নীতি মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়া আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নে গেল অক্টোবরে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।

আজ (সোমবার) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই তিন আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য খালেদা জিয়ার নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। দলীয় প্রধানের ফরম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিএনপির দলীয় মনোনয়নপত্রের ফরম বিতরণ কার্যক্রম।

ফেনী-১ আসন থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে প্রথম মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া-৬ আসন থেকে মনোনয়নপত্র নেন।

পরে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বগুড়া-৭ আসন থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে আরেকটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা গত বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ নভেম্বর এবং ২৯ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি এবারের নির্বাচনে আসবে কি না নিয়ে নানা মত ছিল। তবে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপির নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে তফসিল এক মাস পিছিয়ে দেয়ার দাবি করা হয়েছে ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে। বিএনপির এ দাবির বিষয়ে আওয়ামী লীগকেও বেশ নমনীয় মনোভাব পোষণ করতে দেখা গেছে।