সংগ্রামের ২ বছর, অবশেষে ছাড়পত্র পেল ‘হৃদয়ের রংধনু’

২ বছর সংগ্রামের পর সেন্সর ছাড়পত্র পেল দেশের প্রথম পর্যটন নির্ভর চলচ্চিত্র ‘হৃদয়ের রংধনু’। পর্যটনশিল্পের জন্য ছবিটি হুমকি উল্লেখ করে এটি সেন্সর বোর্ডে আটকে রাখা হয় বছরের পর বছর। অবশেষে সেন্সর বোর্ড থেকে এই ছাড়পত্র পৌঁছায় নির্মাতা রাজীবুল হোসেনের কাছে। পরিচালক রাজীবুল জানান, এখন ছবিটি মুক্তিতে আর বাধা রইল না।

২০১৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছিল চলচ্চিত্র ‘হৃদয়ের রংধনু’। শুটিংয়ের সময় ছবির কিছু দৃশ্য দেখে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর প্রযোজকের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সাথে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তিমতে ছবিটিতে দৃশ্যধারণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠায় ছবিটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এরপর শুটিং শেষে মুক্তির অনুমতি চেয়ে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হলেও দু বছর ধরে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায়নি হৃদয়ের রংধনু।

২০১৬ সালে ছবিটি বোর্ডে জমা দেওয়ার ৭ মাস পর ৮টি সংশোধনী দেয় কমিটি। এরমধ্যে তিনটি সংশোধন করে বাকিগুলোতে চ্যালেঞ্জ করেন পরিচালক। অবশেষে হাজারো ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে ছাড়পত্র পেয়েছে রাজীবুল হোসেন নির্মিত ‘হৃদয়ের রংধনু’।

অনেক জটিলতা পেরিয়ে ছবির সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ায় দারুণ খুশি রাজীবুল। তিনি বলেন, ‘এই ছবি নিয়ে অনেক ঝড়ঝাপটা গেছে। কোনো আপস ছাড়াই স্বাধীন নির্মাতা হিসেবে ছাড়পত্র পেলাম। আমি খুশি। এটি স্বাধীন নির্মাতাদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

ছবিটির মুক্তি কবে? জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে জানাব। তবে দেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে নয়।’

‘হৃদয়ের রংধনু’ ছবিতে দেশি-বিদেশি শিল্পীরা অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে আছেন মিনা পেটকোভিচ (সার্বিয়া), শামস কাদির, মুহতাসিম স্বজন, খিং সাই মং মারমা প্রমুখ। ২০১৪ সালে ছবিটির শুটিং শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়েছে। ছবিটির দেশের ৫৪ জেলায় দৃশ্যধারণ হয়েছে।