নওগাঁর মান্দায় শিক্ষকের মারপিটে ছাত্রের মৃত্যু, মাদরাসা সুপার গ্রেপ্তার
নওগাঁর মান্দা উপজেলার দোসতি দাখিল মাদরাসার শিক্ষকের পিটুনিতে সপ্তম শ্রেণীর দুই ছাত্র আহত হবার পর এক জনের মৃত্যু হয়েছে। শিক্ষকের এমন নিষ্ঠুর আচরণে ক্ষুব্ধ অভিভাবক মহল। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার গ্রেফতার হলেও অভিযুক্ত দুই শিক্ষক পলাতক রয়েছে। তবে মাদ্রাসার সভাপতি পুরো ঘটনা অস্বীকার করে বলেন এমন কোন মার পিটের ঘটনা ঘটেনি যার ফলে ছাত্রের মৃত্যু হতে পারে।
গত মঙ্গলবার মাদরাসা চলাকালে একই ক্লাসের সহপাটিকে উত্যক্ত করার অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক হারুন উর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র জয়নাল আবেদিন ও ফয়সাল ইকবালকে আমগাছের ডাল ও বাঁশের কাচাঁ কঞ্চি দিয়ে দুই পাশ থেকে বেধড়ক মারপিট করে তাদেরকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়। জয়নাল বাড়ি ফিরে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ওইদিন বিকেলেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর মারা যায় জয়নাল আবেদিন।
জয়নালের বন্ধু ফয়সাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফয়সালকে সময়মতো চিকিৎসা না দিতে পারলে তারও মৃত্যু হতে পারতো বলে জানালেন তার মা।
তবে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন মাদ্রাসার ছাত্রীকে বার বার উত্যক্ত করার প্রেক্ষিতে শিক্ষকরা তাকে মৃদু শাসন করেছে । মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি।
প্রশাসন বলছেন মার পিটের কারণেই জয়নালের মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের পর আরও পষ্ট হওয়া যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে মাদরাসার সুপার বিন-ই-আমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শিক্ষকের এমন নিষ্ঠুর আচরণ মানতে পারছেন না কেওই। তাই শিক্ষকদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
এ.কে. সাজু, নওগাঁ প্রতিনিধি