সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল সহায়তা দেওয়া উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ও অভাবগ্রস্ত মোট ১১৩ জন সাংবাদিক এবং বিভিন্ন ঘটনায় নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা প্রসঙ্গে বলেন- তাঁর বিরুদ্ধে কে কী লিখছে, সে সম্পর্কে তিনি তেমন কর্ণপাত করেন না। তিনি বলেন- ‘যাঁরা আমার পক্ষে লেখেন এবং যাঁরা আমার বিরুদ্ধে লেখেন, তাঁদের সম্পর্কে আমি সামান্যই চিন্তা করি। আমরা মনে করি, যেকোনো কাজ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আমার নিজের ওপর আস্থা রয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে চলি। সরকার দৃঢ়ভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কিন্তু কেউ এই সুযোগকে শিশুসুলভ ভাবে ব্যবহার করতে যেন না পারে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।’ তিনি আরো বলেন- ‘আমারা ছোট-বড় ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। মাসিক কিস্তিতে সাংবাদিকরা এসব ফ্ল্যাটের মালিক হতে পারবেন। এর আগে পেশাজীবীদের প্লট দেয়া হয়েছিল, সেখান থেকেও সাংবাদিকরা সুবিধা পেয়েছেন। এখন আমাদের শেষ বেলা। যেগুলো কাজ অসমাপ্ত আছে সেগুলোও দ্রুত শেষ করে যেতে চাই।’

এসময় তথ্যমন্ত্রী ও ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, তথ্যসচিব আবদুল মালেক এবং পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর।

প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলে আরও ২০ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে সাংবাদিকদের গঠনমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।