ঝিনাইদহে মহাসড়কে চলছে অবৈধ সিএনজি, নসিমন করিমন ভটভটি

ঝিনাইদহে কোন নম্বর প্লেট-লাইসেন্স না থাকার পরও চলছে অন্তত ৯০০ ত্রিচক্র যান (সিএনজি)। প্রশাসনিক নজরদারি না থাকায় ও একটি মহলের অবৈধ বাণিজ্যে নিয়মিত টাকা প্রদান করে চলছে এসকল সিএনজি, নসিমন করিমন ভটভটি মালিক চালকগণ।

জেলার চার প্রধান সড়ক ও মফস্বলে চলছে এসকল মাহেন্দ্র (সিএনজি), নসিমন করিমন ভটভটি। চারটি সড়ক হচ্ছে যথাক্রমে, যশোর সড়কে হাটখোলা বিষয়খালী, মাগুরা সড়কে টার্মিনাল-গোপালপুর, কুষ্টিয়া সড়কে আরাপপুর-গাড়াগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, মফস্বলে চলছে ডাকবাংলা বাজার, সাধুহাটি, বাজার গোপালপুর, হাটগোপালপুর ও চুলকানি বাজার দিয়ে নিয়মিত চলছে এসব যানবহন। দীর্ঘ ০৬ বছর ধরে সিএনজি চালাচ্ছেন আড়ুয়াকান্দী এলাকার মোহাম্মদ ইসহাক।

তিনি বলেন, আজ থেকে ৫ বছর আগে ব্যাংক ড্রাফট করেও পাইনি কোন নাম্বার প্লেট বা রেজিস্ট্রেশনের কাগজ।

এছাড়াও অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৮০ টাকা প্রদান করতে হচ্ছে এসকল চালক ও মালিকপক্ষকে তারা প্রতিদিন মালিক সমিতি বাবদ দিচ্ছেন ২০ টাকা আনুসাঙ্গিক খরচ ৩০ টাকা তোলা হচ্ছে হাটের রাস্তা থেকে পাগলাকানাই থেকে একজন চালককে প্রতিদিন দিতে লাগছে ২০ টাকা ও ১০ টাকা দিচ্ছেন বিষয়খালী বাজারের স্টান্ডে। এই ব্যাপারে ঝিনাইদহ বি আর টি এ সহকারী পরিচালক বিলাস সরকার এর সাথে দেখা করা হলে জেলায় মোট সিএনজির সংখ্যার কোন হিসাব তিনি জানাতে পারেন নাই। এছাড়াও বলেন গত ৪ বছর ধরে জেলায় তিন চাকার এই যানের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে।

সরকার যেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে তেমনি কোন নম্বরপ্লেট না থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে কি জাতীয় নিরাপত্তা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আরডিসি মিটিংয়ে আমরা এবার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি এসব গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন করা হবে।

এর পরে ঝিনাইদহ তিন চাকা যান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিদিন এই পরিমান টাকা প্রদানের সত্যত্যা স্বীকার করেন।

এই ঘটনায় ঝিনাইদহ ট্রাফিক পরিদর্শক কৃষ্ণ পদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পারিবারিক ব্যস্ততার কথা জানান, আজ তিনি ছুটিতে আছেন কি না এমন প্রশ্নেরও কোন উত্তর প্রদান করেননি।

মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি