জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষ ও ভাংচুর, মহিলাসহ আহত ৭

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাশবায়সা গ্রামে সোমবার প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ ৭ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, দাশবায়সা গ্রামের জহুরুল ইসলাম লস্কার, হাসি খাতুন, ছানারুদ্দীন লস্কার, ইসমাইল হোসেন, মাসুম লস্কার, হাসান ও বোরাক লস্কার।

পুর্ব শত্রুতা ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় জহুরুল লস্কারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জহুরুলের ছেলে রাকিবুল লস্কার অভিযোগ করেন, সোমবার দুপুরের দিকে তার পিতা জহুরুল লস্কার বিলে মাছ ধরতে যান। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে প্রতিবেশি আজিজুল লস্কার, রবিউল, রফিকুল ও মাজেদুল লস্কার ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এই সময় মাগুরার শালিখা উপজেলার তেবরোল গ্রাম থেকে সবুজ, জাকির, ইউনুস, ইছাহাক ও ইকবালসহ ৩০/৪০ জনের একটি দল মুখোশ ও হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়।

রাকিবুল লস্কার জানান, শালিখার সন্ত্রাসী সবুজ লস্কার তার পিতা জহুরুল লস্কারকে পায়ে গুলি করে। তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও তার মায়ের গহনা লুটপাট করে। বাড়ি ঘরেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

আহতদের প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করলে স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে আসেন। সোমবার বিকালে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান হামলার বিষয়ে জানান, বহুদিন থেকেই দাশবায়সা গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও আছে। সোমবার মাছধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে কোন গুলির ঘটনা ঘটেনি বলে ওসি জানান।

তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কালীগঞ্জ থানায় কেও অভিযোগ দিতে আসেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি