আবারও আইনি জটিলতায় কঙ্গনা রানাওয়াত!

ভারতের মুম্বাইয়ের বান্দ্রা সংলগ্ন পালি হিল এলাকায় বাংলো কিনেছেন, অথচ নাকি বাড়ি কেনার জন্য মধ্যস্থতাকারী সংস্থার (ব্রোকার) পাওনা টাকা মেটাননি কঙ্গনা রানাওয়াত। জানা গেছে, এবিষয়ে মুম্বাইয়ের খার পুলিশ স্টেশনে কঙ্গনা ও তার বোন রঙ্গোলি ও কঙ্গনার ফাইন্যান্স টিমে কাজ করেন আরও এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই মধ্যস্থতাকারী। আর এরপরেই পুলিশের তরফ থেকে কঙ্গনার কাছে নোটিস পাঠানো হয়। 

সূত্রে খবর, গত বছরই মুম্বাইয়ের পালি হিল এলাকায় ২০.৭ কোটি টাকা দিয়ে এই বাংলো কেনেন বলিউডের ‘কুইন” কঙ্গনা রানাওয়াত।  যে বাড়িটা আগে একটি বাচ্চাদের প্লে স্কুল ছিল। বাংলাটি কেনার পাাশাপাশি ৫৬৫ স্কোয়ার ফিটের একটি গ্যারেজও কিনেছেন কঙ্গনা। এই বাংলোটি কেনার জন্য সরকারকে ১.০৩ কোটি টাকা কর দিয়েছেন কঙ্গনা।

তবে অভিনেত্রীর দাবি,  বাংলো কেনার জন্য শেই মধ্যস্থতাকারী সংস্থা (ব্রোকার)কে চুক্তি অনুযায়ী বাংলোর দামের ১ শতাংশ অর্থা ২২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আর সেটা বহুদিন আগেই দেওয়া হয়েছে। এই বাড়িটি কেনার জন্য যিনি মধ্যস্থতা করেছেন তার সঙ্গে এবিষয়ে আমার সরাসরি কথা হয়েছে। অথচ এখন শেই মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তি প্রকাশ জি রোহিরা অকারণ আমার ফাইন্যান্স টিমকে হেনস্থা করছে। আমার কাছ থেকে হঠাৎ করে বাংলোর দামের ২ শতাংশ হিসাবে আরও ২২ লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে। অথচ এধরনের কোনও চুক্তিই তার সঙ্গে আমার হয়নি। ইতিমধ্যেই চুক্তি অনুযায়ী আমি টাকা দিয়ে দিয়েছি এবং তার সমস্ত কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে।

কঙ্গনার কাছে পাওনা টাকা নিয়ে ঝামেলার পরেই কর্মা রিয়েলটার্স নামে সেই মধ্যস্থতাকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি প্রকাশ জি রোহিরা গত জুলাই মাসের শেষে কঙ্গনা ও তার বোন রঙ্গোলি ও অভিনেত্রী আর্থিক হিসেব রক্ষকের বিরুদ্ধে গোপনে খার পুলিশ স্টেশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যাচ্ছে।

এরপরই খার পুলিশ স্টেশনের তরফে কঙ্গনার কাছে নোটিস পাঠানো হয়। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে কঙ্গনার বোন রঙ্গোলি চান্দেল পুলিশের কাছে তার লিখিত বক্তব্য জানিয়েছেন। তবে কঙ্গনা রানাওয়াত এখনও পর্যন্ত তার বক্তব্য লিখিতভাবে জানাননি বলে জানিয়েছেন খার পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তা।