অবশেষে মুক্ত, বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন ‘লিটল মাস্টার’

ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন গত দুই বছর ধরে। ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করেছেন। তারপরও এতদিন ধরে মনের গহিনে কষ্ট পুষে রেখেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। অবশেষে সেই কষ্টের অবসান হলো। বিপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে আজ ১৩ আগস্ট সোমবার মুক্ত হলেন ‘লিটল মাস্টার’ মোহাম্মদ আশরাফুল।

এই বিশেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ঝড়-ঝাপটার দিনের তারকা আশরাফুল স্বপ্ন দেখেন আবারও জাতীয় দলে ফেরার। শুধু তাই নয়, তার স্বপ্ন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার। ‘লিটল মাস্টার’এর মতে, ঘরোয়া ক্রিকেট আর আগামী বিপিএলে নিজের যোগ্যতা দেখিয়ে তিনি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ করে নেবেন।

তার ভাষায়, ‘বিশ্বকাপের আরও ১১ মাস বাকী। আগামী ঘরোয়া মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যদি ভালো খেলি, জানুয়ারিতে বিপিএলে ভালো খেলি; তাহলে সুযোগ কেন পাব না? আমি মূলত ফিটনেসের প্রতি নজর দিচ্ছি দুইটা বছর ধরে। গত দুই মাসে ৮ থেকে ৯ কেজি ওজন কমিয়েছি।’

তবে খুব শীঘ্রই যে জাতীয় দলের আশেপাশে ভিড়তে পারবেন না অ্যাশ, তা একপ্রকার নিশ্চিত করে দিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তিনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে যদি বলতে হয়, তাহলে বলব এই মুহূর্তে দলে কোনো জায়গা নেই। ওর ফিটনেস আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য ঠিক আছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। সাসপেসশন যাওয়ার পর সব ফরম্যাটে খেলুক, তারপর এক বছর যাওয়ার পর বুঝতে পারব তার ফিটনেস কোন লেভেলে আছে।’

সুতরাং প্রধান নির্বাচকের কথায় পরিস্কার যে, মোটামুটি এক বছরের আগে আশরাফুলের জাতীয় দলের জন্য বিবেচনায় না আসার সম্ভাবনাই প্রকট। তখন অ্যাশের বয়স হবে ৩৫। সেটা অবশ্য কোনো বড় ব্যাপার নয়। ফিটনেস ধরে রাখাটাই আসল। মিসবাহ-ইউনিসরা তো ৩৯- ৪২ বছর পর্যন্ত দলকে সার্ভিস দিয়ে গেছেন। নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপযোগী করে সাজাতে পারলে অ্যাশও হয়তো সেটা পারবেন।

তবে, মুমিনুলের মতো ক্রিকেটাররা যেখনে ওয়ানডেতে সুযোগ পায় না, সেখানে আশরাফুলের জন্য জাতীয় দলে প্রবেশ হবে ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’। ‘লিটল মাস্টার’ পারবেন নিজেকে প্রমাণ করতে?