শুক্রবার থেকে গাবতলী পশুর হাট শুরু

শুক্রবার থেকে গাবতলীতে বসবে রাজধানীর সবচেয়ে বড় হাট। তাই গাবতলী পশুর হাট কর্তৃপক্ষ ব্যস্ত সময় পার করছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে।

রাজধানীতে পশুর সবচেয়ে বড় হাট বসে গাবতলীতে। দেশের সব জায়গা থেকেই গাবতলী হাটে পশু নিয়ে আসেন খামারি-বেপারিরা। আর তাই ব্যস্ততা এখন পশুর হাট ঘিরে। আর তাই গাবতলী হাটের বর্ধিতাংশে প্যান্ডেলের বাঁশ লাগানোর কাজ চলছে। বাঁশের খুটি লাগিয়ে ওপরে ত্রিপল বাঁধার কাজ চলছে। কোথাও কোথাও লাইট লাগানোর কাজ চললেও শামিয়ানার কাজ এখনও শেষ হয়নি। আর প্রতি বছরের মতো এবারও হাটের ইজারা পেয়েছেন মো. লুৎফর রহমান।

প্রতি বছরের মতো এবারও মূল হাটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে গাবতলী বেড়িবাঁধের পশ্চিমাংশ। থাকবে ১০টি হাসিল ঘর। জায়গা ভাড়া নেয়া বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম ও গবাদি পশু ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে কাজ করছেন নিজ নিজ প্যান্ডেল তৈরির। মন্ডল এন্টারপ্রাইজ এবার জায়গা নিয়েছে হাটের ২ নম্বর গেটে। চলছে গরু বাঁধার জন্য প্যান্ডেল তৈরির কাজ। গাবতলীর হাটে বেপারিরা জানালেন, হাটের মূল বেচাকেনা হয় শেষের তিন দিন। তাই তেমন তাড়াহুড়ো এখনো নেই। ইতোমধ্যে হাটের নিয়মিত বিক্রেতারা কিছু কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন। তবে, বিক্রি হয়নি একটিও। যেসব সব গরু-ছাগল বিক্রি হচ্ছে তা মাংস ব্যসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

গাবতলীর ১নং হাসিল ঘরের ক্যাশিয়ার মো. সোলায়মান জানান- দেশের সর্ববৃহৎ কোরবানির পশু বিক্রির হাটের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাবের পাশাপাশি থাকবে হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে ভলান্টিয়ার দল। জাল টাকা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ ও প্রতিটি হাসিল ঘরে একটি করে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন থাকবে। পশুর নিরাপত্তায় কয়েকটি দলে পশু চিকিৎসকরা ক্যাম্প করে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে উপস্থিত থাকবেন। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। কোরবানির জন্য পশু আসা শুরু হয়েছে। আগামী বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পুরো দমে কোরবানির পশু আসা শুরু হবে। পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকেও হাটে কোরবানির পশু আসবে।

 এছাড়াও এ হাটে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল থেকে গরু-ছাগল, ভেড়া, উঠ, দুম্বা আসবে বলে জানান যায়।