ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ সারিকা

আগামী ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো টেলিভিশন শিল্পী সংঘের সদস্য ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিনকে। এ সময় তিনি কোনো নাটক, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনসহ সমিতির কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।

নাটকের শুটিং ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সারিকাকে আগামী ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করল টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)। গত ১০ এপ্রিল প্রযোজক মোহাম্মদ বোরহান খানের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ জুলাই টেলিপ্যাবের সালিস বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সংগঠনের কার্যকরী কমিটিতে পাস হয় সিদ্ধান্তটি। ১ আগস্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

প্রযোজক বোরহান খান বলেন, গত ২১ মার্চ বেশ কয়েকটি নাটকের শুটিং নিয়ে নেপালে যান তাঁরা। সারিকার পাঁচটি এক ঘণ্টা ও সাত পর্বের একটি ধারাবাহিকে কাজ করার কথা ছিল। পারিশ্রমিক হিসেবে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা, বিমানের রিটার্ন টিকিট ও চিত্রনাট্যগুলো তাঁর বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু যাওয়ার দিন সারিকা আর বিমানবন্দরে আসেননি। প্রযোজক বলেন, ‘সারিকাকে ছাড়াই আমরা নেপালে যাই। পরে আরেকজন শিল্পীকে ঢাকা থেকে নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার।’

তারেখ মিন্টু বলেন, ‘প্রযোজক বোরহান খানের করা অভিযোগ যাচাই করতে আমরা সারিকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করি। চিঠি, ফোন ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাইনি তাঁর কাছ থেকে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে নোটিশ দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দেওয়া সংগঠনের নিয়ম থাকলেও সারিকা ১৫ দিনেও কোনো উত্তর দেননি। শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁকেও কোনো উত্তর দেননি।’ ছয় মাস নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে সভাপতি মামুনুর রশীদ বলেন, ‘এ ধরনের বিশৃঙ্খলা করেও ফোন ধরেননি, চিঠির কোনো উত্তরও দেননি সারিকা। বাধ্য হয়েই আমাদের এই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে সারিকার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধের চিঠি এখনো পাইনি। যদি পাই, আমি যা করণীয় তা-ই করব। প্রয়োজন হলে ক্ষমা চাইব।’

সালিস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টেলিপ্যাবের সভাপতি মামুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক ইরেশ যাকের, সালিস বৈঠকের আহ্বায়ক তারেখ মিন্টুসহ অনেকেই।