ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ ঘরে তুলল ফ্রান্স

রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপ ঘরে তুলল ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালের পর আবারও সোনালী ট্রফিতে চুমু আঁকল ফরাসিরা। জয়ের পর বদলে গেছে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামের চিত্র। বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে উঠছে ফ্রান্সের সমর্থকরা। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন আশা দেখালেও হতাশায় মুষড়ে পড়েছে ক্রোয়েশিয়া।

হেরে গেলেও সাধুবাদ পাবে ক্রোয়েশিয়া। কারণ গোটা টুর্নামেন্টজুড়েই নান্দনিক ফুটবলের পসরা সাজিয়েছে ক্রোয়াটরা। আর এবারই প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে মাঠে নেমেছে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু খেলার শুরুটা ভালো করলেও ১৯ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে ফ্রান্স।

প্রথম থেকেই একের পর আক্রমণ করতে থাকে ক্রোয়েশিয়া।বলতে গেলে গোল খাওয়ার ১৯ মিনিটের আগ পর্যন্ত মডরিচদের পায়ে বল থাকে। কিন্তু ক্রোশিয়ার ডিবক্সের সামনে থেকে ফাউল শর্ট করে ফ্রান্স এই আত্মঘাতী গোল দেয়।

কিন্তু সেই গোল বেশিক্ষণ হজম করতে হয়নি ক্রোয়েশিয়াকে।খেলার ২৮ মিনিটের মাথায় ফ্রান্সের ডি-বক্সের সামনে থেকে ফাইল শর্টে সরাসরি গোল না হলেও ইভানের দুর্দান্ত শর্টে গোল করে খেলায় সমতা ফেরায় মডরিচরা।

গোল শোধের এই আনন্দ ক্রোয়েশিয়া বেশিক্ষণ করতে পারলো না। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে আরেকটি গোল খায় তারা। কিন্তু এবারও সেই আত্মঘাতী গোলের মতই।ডিবক্সের মধ্যে তাদের খেলোয়াড়ের হাতে বল লেগে প্যানল্টি পায় ফ্রান্স।সেই প্যানাল্টির গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আক্রমণের গতি বাড়ায় ফ্রান্স। ৫৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার বজ্রগতির শটে বল ঠিকানায় পাঠান পল পগবা। সাফল্যও পায়। এতে এক কথায় ফ্রান্সের জয় একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়। এগিয়ে গিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ফলে ব্যবধান বাড়তেও সময় লাগেনি।

অপরদিকে গোল খেয়ে যেন খেই হারিয়ে ফেলে ক্রোয়েশিয়া। এই সুযোগে আরো এক গোল করে বসে কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৬৫ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার পেরেক ঠুকেন তিনি।