পাহাড় ধ্বসে বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

বান্দরবানে পাহাড় ধ্বসে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের কালাঘাটা এলাকায় প্রতিমা রানী দাশ (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে ভারী বর্ষন হচ্ছে। ভারী বর্ষনের ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে বাড়ীর উপর পড়লে এতে বাড়ীতে থাকা প্রতিমা রানী মাটি চাপা পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে একই দিন বান্দরবানের লামা উপজেলায় পাহাড় ধ্বসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার সময় লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কালাইয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- স্বামী-স্ত্রী মো: হানিফ (৩০), রেজিয়া বেগম (২৫) ও তাদের কন্যা সন্তান হালিমা আক্তার (৩)।

ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচাল ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, শহরের কালাঘাটা এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনায় এক মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পাহাড় ধ্বসে নিখোজ হওয়া একই পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।

সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই কাশেম আলী জানান, সরই ইউনিয়নের কালাই ছড়া এলাকায় পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপা পড়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধারে পুলিশ ও স্থানীরা কাজ করছে।

গত টানা ২৪ ঘণ্টা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার শহরের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহর ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বান্দরবান-রুমা সড়কের দলিয়ান পাড়ার কাছে মঙ্গলবার সকালে সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পরলে রুমা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের পুলপাড়া নামক এলাকায় ব্রীজ পানি নীচে তলি গেলে সকাল থেকে বান্দরবানের সাথে রাংগামাটি সড়ক যোগাযোগ বন্ধসহ সারা দেশের সাথে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঘটনা ঠেকাতে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহর ও উপজেলায় সকাল থেকে মাইকিং করছে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।

 

সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি