জয় নিয়ে শঙ্কা, টিকে থাকতে আজ মাঠে নামবে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা

নক আউটের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি নামছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। সি গ্রুপের শীর্ষ স্থানাধিকারী ফ্রান্সরা গ্রুপ ডি-র দ্বিতীয় স্থানাধিকারী আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে কাজান এরিনা স্টেডিয়ামে নামবে। বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় খেলাটি শুরু হবে।

সাধারণভাবে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে গেলে সেই দলের প্রতি আশা অনেক বেড়ে যায়। তবে ফ্রান্স এখনও নিজেদের সেরা ফর্মে পৌঁছতে পারেনি। কারণ ফ্রান্স শেষ খেলা ও তার আগের ম্যাচের শেষ অর্ধ ধরলে মোট তিনটি অর্ধে কোনও গোল করতে পারেনি। একটি গোল অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে আত্মঘাতী হয়েছে।

কোচ দিদিয়ের দেসক্যাম্পস টুর্নামেন্ট জেতার মতো আশাবাদী সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না। কারণ, এই ফ্রান্স দলে প্রতিভার অভাব স্পষ্ট। এই ম্যাচের বাধা টপকাতে পারলে পরের ম্যাচে উরুগুয়ে অথবা পর্তুগালের সামনে পড়তে হবে। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের উপরে ফ্রান্স উঠবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা পরের রাউন্ডে উঠলেও খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। কারণ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের কাছে আটকে যাওয়ার পরে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে হারতে হয়েছে। লিওনেল মেসি জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ অবধি নাইজেরিয়াকে হারিয়ে মেসিরা শেষ ১৬-য় উঠেছেন।

একটা সময়ে মনে হচ্ছিল, মেসিদের বিশ্বকাপ অভিযান গ্রুপ স্টেজেই শেষ হয়ে যাবে। তবে শেষ ম্যাচে মেসি ম্যাজিকে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

আগের ম্যাচে জয় পাওয়ায় অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে অনুশীলন করতে দেখা যায় শুক্রবার। কিন্তু শঙ্কার বিষয় হচ্ছে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। যাদের ভুলের কারণে বারবার গোল খেতে হচ্ছে তাদের। শুধু গোল নয় বারবার রক্ষণভাগ ভেঙে বল নিয়ে ঢুকে পড়ছে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। প্রথম দুই ম্যাচে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর মেসি নিজেকে খুঁজে না পেলেও শেষ ম্যাচে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন সেরা ছন্দে। পুরো মাঠ জুড়ে দেখা গেছে খেলতে। তাই আর্জেন্টিনা আশা বাঁধতেই পারে কোয়ার্টারে যাবার ব্যাপারে।

মেসি তার ফর্ম ফিরে পেলেও এখনও ফর্মে দেখা যায়নি হিগুয়েইন, অ্যাগুয়েরো, ডি মারিয়াদের। এক মেসির ওপর ভর করে কতটুকু যেতে পারে আলবেসিলেস্তেরা সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে এটাও উল্লেখ্য যে, গত বিশ্বকাপে কিন্তু এই মেসির ম্যাজিকেই ফাইনালে উঠেছিল আলবেসিলেস্তেরা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে পড়ে মারিও গোটসের শেষ মুহূর্তের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের।

দল হিসাবে আর্জেন্টিনা যে ফ্রান্সের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে তা একেবারেই নয়। বরং যে দলে আক্রমণভাগে রয়েছেন গ্রিজম্যান, ডেম্বেলে, এমবাপে, পলপগবার মতো খেলোয়াড়রা। ডিফেন্সে রয়েছে বার্সেলোনায় মেসিরই সতীর্থ উমতিতি। যার উপর দায়িত্ব পড়েছে মেসিকে দেখে রাখার। ফলে কিছুটা হলেও ফেভারিট হিসাবে নামছে ফ্রান্স।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স দুই দল ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে। প্রথম ম্যাচ দুই দল ১৯৩০ সালে প্রথম মুখোমুখি হয়। আর্জেন্টিনা ৬ বার জিতেছে, ফ্রান্স ২ বার জিতেছে। ৩ ম্যাচ ড্র হয়েছে।