ফরিদপুরের সালথায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহাৎসব!

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভিন্ন নদী এবং হাওড় হতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের মহাৎসব চলছে। কোন কিছুতেই অবৈধ ড্রেজার দ্বারা বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। স্বার্থান্বেষী মহল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হুঁমকির মুখে পড়ার কারণে সরকার ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সুবিধা ভোগী একটি মহল তা মানছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়ীয়ার কুমার নদ হতে ড্রেজার বসিয়ে ইউপি সদস্য তাপস কুমার হোড়, মধ্য ফুলবাড়িয়া সালাম মোল্লার বাড়ী হতে রুস্তুমের বটতলা হয়ে ওসমান মোল্লার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পূণঃ নির্মাণ এর কাজে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পটির ব্যয় বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লক্ষ উনসত্তর হাজার টাকা।

এদিকে উপজেলার বিষ্ণুদী এলাকার ফুলবাড়ীয়া দহ নামক স্থানে সাহিদ নামে আর এক ব্যাক্তি বাওড়ের বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করছে। আবার উপজেলার রামকান্তুপুর ইউনিয়নে অবস্থিত কুমার নদী থেকে সৈয়দ মেম্বার ড্রেজার বসিয়ে সরকারী কাজে সাড়ে চার কি.মি দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এলজিইডি এর নির্মাণাধীন রাস্তার বালু ভরাটের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে বালু সরবারাহ করছে। রাস্তার কাজে চুক্তি মোতাবেক ঠিকাদার ট্রাক ভর্তি বালু এনে কাজ করার কথা থাকলেও সাশ্রয়ী মূল্যে স্থানীয় এসব প্রভাবশালীদের সাথে যোগসাজশে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করে পরিবেশকে হুঁমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

এবিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, নদী বা বাওড় থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন হচ্ছে বলে কয়েকটি খবর শুনেছি । এব্যাপারে দ্রুত তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি